উত্তরের হিমেল হাওয়া আর কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের জনজীবন। বিশেষ করে বিপাকে পড়েছে শিশু ও বয়োবৃদ্ধরা। ঘন কুয়াশা উপেক্ষা করে জীবিকার তাগিদে কাজে যেতে বাধ্য হচ্ছেন খেটে খাওয়া মানুষজন। তবে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে এ পরিস্থিতি আরও কয়েকদিন থাকতে পারে।
জানা গেছে, টানা ৫দিন ধরে উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে সূর্যের দেখা মেলেনি। দিনে-রাতে গুড়িগুড়ি বৃষ্টির মতো ঝড়তে থাকে শীত। এর মধ্যে মৃদু ঠান্ডা হাওয়ায় স্থবির হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
উলিপুর উপজলার হাতিয়া বাজার এলাকার খোদেজা বেওয়া (৫৫) বলেন, 'ঠান্ডাত বাঁচি না বাবা, কয়দিন থাকি সূর্যের দেখা নাই। জারের কাপড় না থাকায় আগুন তাপে দিন কাটবার নাকছি।'
চর গুজিমারির শাহের আলী (৮০) ও ঝরু মিয়া (৬২) জানান, রাতে বৃষ্টির মতো শীত পড়ে। সূর্যের দেখা মিলছে না। চরে ঠান্ডা খুব। এই ঠান্ডায় হাত-পা ব্যথা করে। ঠিকমতো চলতে পারি না।
রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, শনিবার সকালে কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রার তুলনায় ঠান্ডার তীব্রতা অনেক। এরকম অবস্থা আরও কয়েকদিন চলতে পারে।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ