ব্যাংক কর্মকর্তা রাজীব আহমেদ। পূবালী ব্যাংকের কুমারখালী শাখার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বরত। তিনি কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার বামনপাড়া গ্রামের ইব্রাহিম আলীর ছেলে।
গত বছরের জানুয়ারিতে পূবালী ব্যাংকের কুমারখালী শাখায় বদলি হন রাজীব আহমেদ। চাকরির সুবাদে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কুমারখালীর শেরকান্দি এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন।
তবে তার স্ত্রী রায়হানা পারভীন মাসখানেক ধরে দুই সন্তান নিয়ে নিজ বাবার বাড়ি খোকসাতে ছিলেন। গত ২১ ডিসেম্বর রাতে রাজীব আহমেদ তার স্ত্রীকে মুঠোফোনে জানান যে, ২২ ডিসেম্বর তিনি গ্রামের বাড়ি ভেড়ামারা যাবেন। এরপর ওইদিন (২২ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায় এবং তিনি নিখোঁজ হন।
কোথাও তার খোঁজ না মেলায়, ২২ ডিসেম্বর রাতেই কুমারখালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন ব্যাংক কর্মকর্তার স্ত্রী রায়হানা পারভীন। এরপর থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন।
নিখোঁজের ২২ দিন পর অবশেষে শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে খুলনার একটি আবাসিক হোটেল থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকিবুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, তাদের সংসার-জীবনে কলহ চলছিল। পারিবারিক অশান্তির কারণেই রাজীব আহমেদ খুলনার একটি আবাসিক হোটেলে আত্মগোপনে ছিলেন। তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে কুমারখালী থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করেছে।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকিবুল ইসলাম বলেন, পারিবারিক অশান্তির কারণে আত্মগোপনে ছিলেন ব্যাংক কর্মকর্তা রাজীব আহমেদ। নিখোঁজের বিষয়টি জানার পর থেকে, তাকে উদ্ধারের জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে আসছিল কুমারখালী থানা পুলিশ। অবশেষে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে খুলনা এলাকায় তার অবস্থান জানতে পেরে, কুমারখালী থানা পুলিশ তাকে উদ্ধারে অভিযান চালায়। পরে তাকে খুলনা থেকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়।
নয়া শতাব্দী/এনএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ