জানুয়ারি দেশের শীতলতম মাস হলেও এ বছর গত মঙ্গলবার পর্যন্ত হাওরাঞ্চলে শীত তেমন ছিল না। কিন্তু গত বুধবার রাত থেকে শুরু হাওরজেলা সুনামগঞ্জে তীব্র শীতের প্রকোপ শুরু হয়েছে। ঘন কুয়াশা আর হিমেল হওয়ায় জড়সড় হয়ে পড়েছেন হাওরাঞ্চলের মানুষ।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সূর্যের মুখ দেখা না যাওয়ায় শীতের তীব্রতা যেন বেড়েছে কয়েকগুণ। তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। হতদরিদ্র ও নিম্ন আয়ের লোকজন পড়েছেন বিপাকে।
শীতের কারণে জরুরি কাজ ছাড়া মানুষ বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না। রিকশা-ভ্যানচালক, দিনমজুর, কৃষিশ্রমিকরা পথে ও মাঠে নেমে সামান্য কাজ করেই শীতে কাবু হয়ে পড়ছেন। অপরদিকে হাসপাতালে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্তদের সংখ্যা।
জগন্নাথপুর নলুয়াহাওর পাড়ের কৃষক সেলিম জানান, এখন বোরো ধানের চারা রোপণের সময়। কিন্তু কুয়াশা ও বাতাসের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় বোরো জমিতে চারারোপণ করতেও পারছেন না শ্রমিকরা।
টমটমচালক কামাল বলেন, শীতের তীব্রতা বেশি হওয়ায় মানুষজন বাসা থেকে বের হচ্ছেন না। তাই আয়-রোজগার নেই। তবে পথেঘাটে থেকে ঠান্ডায় কষ্ট হচ্ছে। খুব কঠিন অবস্থা বিরাজ করছে।
ব্যবসায়ী মো. হিরা বলেন, শীতের প্রকোপ বেশি থাকায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লোকজন বাইরে বের হচ্ছে না। হাট-বাজারে লোকজনের উপস্থিতিও কম।
জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শারমিন আরা আশা বলেন, শীতের তীব্রতা বেড়েছে। ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে অনেকেই ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে বয়স্ক ও শিশুদের সংখ্যা বেশি।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ