রাজশাহীতে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ কমছে। বইছে হিমেল বাতাস। এতেই নামছে কনকনে শীত।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) ভোর পাঁচটায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শীতের প্রকোপ বাড়তে থাকায় এ অঞ্চলের মানুষের জীবনমানে ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। বেড়েছে জনদুর্ভোগ। বিশেষ করে ছিন্নমূল মানুষ বেশি বিপাকে পড়েছেন। কনকনে শীতে জবুথবু এ জনপদ। এ মৌসুমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ ছিল গত বৃহস্পতিবার ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গত ৩ জানুয়ারি রাজশাহীতে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এখন তাপমাত্রার পারদ ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে অবস্থান করলেও বাতাসের কারণে ঠাণ্ডা নামছে। এতে ঘরের বাইরে খেটে খাওয়া মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম বলেন, জানুয়ারির এ সময়ে শীতের প্রকোপ বাড়ে। এখন শীতের প্রকোপ বেশি। আকাশে মেঘ ছিল। সেটা কেটে গেছে। এখন আর বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা আছে।
অন্যদিকে, হাসপাতালে বাড়ছে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীদের ভিড়। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে শীতজনিত রোগে আজ সকাল থেকে শতাধিক রোগী ভর্তি হয়েছে। আর মেডিসিন ওয়ার্ডেও বৃদ্ধ ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে শিশু ও বয়স্ক মানুষের বের না হওয়াই ভালো। তবে খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছেন বেশ বিপাকে। হিমেল বাতাস আর ঠান্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সাধারণ জীবনযাপন।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ