খাদ্য শস্য ভান্ডার খ্যাত চলনবিলের তাড়াশে শীতকে উপেক্ষা করে বোরা আবাদ শুরু হয়েছে। রবি শস্য আবাদ হয়নি এমন সব এলাকাতেই বোরো ধান লাগাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা।
তাড়াশ কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় বোরো ধানে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ২৪ হাজার হেক্টর। এজন্য ১২০৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। এরমধ্যেই বিলপাড়ের বিস্তির্ণ বোরো ধান রোপণের জন্য জমি তৈরি, বীজতলা থেকে চারা উত্তোলন এবং বোরো ধান রোপণ শুরু করেছেন কৃষকেরা।
উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের লালুয়া মাঝিরা গ্রামের কৃষক মো. আফছার আলী, ফরিদ, ফুয়াদসহ একাধিক কৃষক জানান, শীতের তীব্রতা থাকলেও আগাম জাতের বোরো ধান আবাদে এরমধ্যে কৃষকরা ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। মূলত তাদের প্রধান পেশাই কৃষি তাই জমি পতিত না রেখে বোরো আবাদে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের রানীদিঘী গ্রামের কৃষক গোলাম রব্বানী জানান, ধানের ভালো দাম পাওয়ার আশা নিয়ে আগাম জাতের বোরো ধান যেমন ব্রি-২৯, কাটারি ভোগ, ব্রি-২৮, স্থানীয় জাত আব্দুল গুটি, ব্রি-২৮, ব্রি-৩৪,৩৫, ব্রি-৪৯ লাগাতে ঝুঁকে পড়েছেন।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রবি শস্য আবাদ হয়নি এমন সব এলাকাতেই কৃষকেরা বোরো ধান লাগাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বোরো ধান চলনবিলের কৃষকের প্রধান আবাদ হওয়ায় তারা একখণ্ড জমিও পতিত রাখতে চান না। কারণ এই চাষাবাদই তাদের জীবিকার প্রধান উৎস।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকা এবং আগাম শস্য উৎপাদনের লক্ষ্যে তাড়াশের কৃষক-কৃষাণিরা শীতকে উপেক্ষা করে আগাম বোরো ধান লাগাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। প্রয়োজনীয় পরামর্শসহ সকল ধরনের সহযোগিতার জন্য কৃষি অফিস কৃষকদের পাশে আছে।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ