টাঙ্গাইল সদর উপজেলার পোড়াবাড়িতে আওয়ামী লীগের অফিস দুধ দিয়ে ধুয়ে নৌকার প্রার্থীর ব্যানার খুলে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ব্যানার টাঙানোর অভিযোগ উঠেছে আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে।
অভিযোগ রয়েছে, পোড়াবাড়ি বাজারে আওয়ামী লীগের অফিসে নৌকার প্রার্থী মামুন-অর-রশিদের ব্যানার খুলে ঈগলের প্রার্থী ছানোয়ার হোসেনের ব্যানার লাগিয়েছেন ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম। এ ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থীর নেতাকর্মীরা নৌকার কর্মী ও অনুসারীদের বাড়ি ঘরে হামলাসহ হুমকি দিচ্ছেন।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সদর আসনের আওয়ামী লীগের পরাজিত প্রার্থী মামুন-অর-রশিদ।
সংবাদ সম্মেলনে মামুন-অর-রশিদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে সদর আসনে নৌকার মনোনয়ন দিয়েছিলেন। কিন্তু স্বতন্ত্র প্রার্থী ছানোয়ার হোসেন কালো টাকা ছড়িয়ে তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে নৌকার নেতাকর্মীদের হুমকি দিয়ে তার পক্ষে কাজ করিয়েছেন। তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে আমার নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, মামলা ও হুমকিদিয়ে যাচ্ছেন। আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী বর্তমানে বাড়িছাড়া। আমি এর প্রতিবাদ জানাই।
তিনি আরও বলেন, পোড়াবাড়ি আওয়ামী লীগ কার্যালয় দুধ দিয়ে ধুয়ে আমার ব্যানারের পরিবর্তে সেখানে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ব্যানার লাগিয়েছেন ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম। গালা ইউনিয়নের সূত্রধর পাড়ায় সাধন চন্দ্র, ঘারিন্দা ইউনিয়নে বড়রিয়া গ্রামের স্বাধীন, মগড়ার চৌরাকররা গ্রামের স্বাধীন, মাজেদুর, শামীমসহ নৌকার অসংখ্য নেতাকর্মীকে হুমকি ও মারধর করছেন সংসদ সদস্য ছানোয়ারের নেতাকর্মীরা। এসব ঘটনায় পৃথক পৃথকভাবে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তাদের শাস্তি দাবি করছি।
সংবাদ সম্মেলনে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হোসেন মানিক বলেন, জহিরুল স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচন করেছেন। তাতে কোনো আপত্তি নেই। আওয়ামী লীগের কার্যালয় তিনি দুধ দিয়ে ধুয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ছবি লাগানোর কারণে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পোড়াবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম বলেন, আমি ঈগলের নির্বাচন করেছি। তবে অফিস দুধ দিয়ে পরিষ্কার করিনি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হয়েছে।
সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন বলেন, আমার কোনো সন্ত্রাসী বাহিনী ও কালো টাকা নেই। কোনো প্রকার কালো টাকা ছড়াইনি। নৌকার প্রার্থী কালো টাকা ছড়ানোর কারণে আমি ভোট কম পেয়েছি। তা না হলে আমি আরও অনেক বেশি ভোট পেতাম।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুভাষ চন্দ্র সাহা, উপ-দফতর সম্পাদক আনন্দ মোহন দে, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক বদিউজ্জামান ফারুক, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শামীমা আক্তার, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক এলেন মল্লিক, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হোসেন মানিক, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ রৌফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ