দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গার দুটি আসনে ১৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ৯ জন প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে ৩ জন এবং চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে ৬ জন প্রার্থী রয়েছেন।
রোববার (৭ জানুয়ারি) রাতে চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা কর্তৃক প্রকাশিত ফলাফল থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
নির্বাচন কমিশনের বিধিমালা অনুযায়ী, কোনো প্রার্থীকে জামানত রক্ষা করতে হলে মোট প্রদত্ত বৈধ ভোটের (কাস্টিং ভোট) আট ভাগের এক ভাগ থেকে অন্তত একটি ভোট বেশি পেতে হয়।
চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে বৈধ ভোট পড়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার ২৮৩টি। সেই হিসাবে জামানত টিকাতে হলে প্রয়োজন ছিল ২৮ হাজার ৭৮৬ ভোট। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ শহিদুর রহমান পেয়েছেন ৯৫৮ ভোট, জাতীয় পার্টির মো. সোহরাব হোসেন পেয়েছেন
এদিকে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে বৈধ ভোট পড়েছে ২ লাখ ৫ হাজার ৮১৪টি। সেই হিসাবে জামানত টিকাতে হলে প্রয়োজন ছিল ২৫ হাজার ৭২৭ ভোট। তবে জাকের পার্টির মো. আব্দুল লতিফ খান গোলাপ ফুল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩ হাজার ২৭১টি ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীক নিয়ে মো. নুর হাকিম পেয়েছেন ২ হাজার ৬৫১টি, স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল মল্লিক ফ্রিজ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৮২৯টি, জাতীয় পার্টির মো. রবিউল ইসলাম পেয়েছেন ৭৭৮টি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. ইদ্রিস চৌধুরী আম প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪৩০টি ভোট ও জাসদের দেওয়ান মো. ইয়াছিন উল্লাহ মশাল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২১১ ভোট।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোতাওয়াক্কিল রহমান জানান, নিয়ম অনুযায়ী কোনো প্রার্থীকে জামানত ফেরত পেতে হলে মোট বৈধ ভোটের আট ভাগের এক ভাগ থেকে অন্তত একটি ভোট বেশি পেতে হবে। এই নির্বাচনে যারা তা পাননি, তারা জামানতের টাকা ফেরত পাবেন না।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ