রাজশাহীর বাঘায় গাছ কাটার বিরোধে শুমন্ধি মখলেসুর রহমানকে (৬০) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ করেছে ভগ্নিপতি কামাল হোসেন ও ভাগ্নে সিজারের বিরুদ্ধে।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।
মখলেসুর রহমান বাঘা পৌরসভার গাওপাড়া গ্রামের মৃত হায়দার আলীর ছেলে।
জানা যায়, বাঘা পৌর সভার গাওপাড়া গ্রামের মৃত হায়দার আলীর মেয়েকে বিয়ে করে একই গ্রামের মৃত কাশেম আলীর ছেলে কামাল হোসেন। শালিকা বিউটি বেগমের জমির অংশ নিয়ে শুমন্ধি মখলেসুর রহমানের সাথে দ্বন্দ্ব চলছিল বিউটি বেগমের। কামালের শালিকা বিউটি বেগমের অংশের জমিতে দুটি কদম গাছ ছিল। এই গাছ দুলাভাই কামালের কাছে বিক্রি করে বিউটি বেগম। মঙ্গলবার সকালে ১জন লেবার নিয়ে কদম গাছের ডাল কাটতে শুরু করে। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে তর্কবির্তক শুরু হয়। এক পর্যায়ে কামাল হোসেন উত্তেজিত হয়ে সজনের ডাল দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাকিব আহম্মেদ তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত মখলেসুর রহমানের ছেলে সাগর হোসেন বলেন, বাড়ির পাশে দুটি কদম গাছ ছিল। গাছ কেটে নিতে নিষেধ করা হয়। সে দুটি গাছই কাটবে। এ নিয়ে তর্কবির্তকের এক পর্যায়ে আমার বাবাকে সজনের ডালদিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
কামালের মেয়ে কাকলী জানান, খালা বিউটি বেগমের কাছ থেকে ২টি কদমের গাছ আমার আব্বু কিনে নেয়। মঙ্গলবার সকালে ১টি লেবার নিয়ে গাছ কাটতে বড় মামা মখলেচুর রহমান তা বাধা দিলে তর্কবির্তক হয়। ওই সময় মামা চেয়ারে বসে ছিলেন। পরে মামা হার্ট অ্যাটাক করে মারা গেছেন। বাঘা থানায় সাগর হোসেন ২ জনকে আসামি করে একটি মামলা দিয়েছেন।
বাঘা থানা ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে একটি মামলা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়। হত্যা না হার্ট অ্যাটাক করে মারা গেছে রির্পোট না আসা পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ