কিশোরগঞ্জের ৬টি আসনের মধ্যে ৫টিতেই বর্তমান সংসদ সদস্যরা বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়ে বহাল তবিয়তে রয়েছেন। আর একটিতে নৌকাকে হারিয়ে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিন ঈগল প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
রোববার (৭ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি তুলনামূলক কম হলেও সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনে ভাইবোনের মধ্যে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। কিশোরগঞ্জ-২, ৩ ও ৫ আসনে প্রার্থীদের মধ্যে মোটামুটি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হলেও সাবেক রাষ্ট্রপতির পুত্রদ্বয়ের কিশোরগঞ্জ-৪ ও ৬ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা পাত্তাই পায়নি তাদের কাছে। এই আসনে সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্য দিয়ে সহোদর ভাই সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলামকে পরাজিত করে সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি বিজয়ী হয়েছেন। তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৭৭ হাজার ৩৪৮ ভোট। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম ঈগল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭৪ হাজার ৬২ ভোট।
কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনে ঈগল প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিন। তিনি পেয়েছেন ৮৯ হাজার ৫৩৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীক নিয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি আবদুল কাহার আকন্দ পেয়েছেন ৬৮ হাজার ৬৯২ ভোট।
উল্লেখ্য, অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিন দশম জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে এ আসনে বিজয়ী হয়েছিলেন। একাদশ জাতীয় নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের টিকিট পাননি বলে নির্বাচন করেননি। আর এ আসনে আলোচিত ও সমালোচিত বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা মেজর আক্তারুজ্জামান রঞ্জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনে সকল শঙ্কা কাটিয়ে বেসরকারিভাবে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে জাপা মহাসচিব ও বর্তমান এমপি অ্যাডভোকেট মজিবুল হক চুন্নু বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৫৭ হাজার ৫৩০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রধানমন্ত্রীর সাবেক এডিসি মেজর (অব.) নাসিমুল হক তিনি পেয়েছেন ৪২ হাজার ২৩৫ ভোট।
কিশোরগঞ্জ- ৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনে সাবেক রাষ্ট্রপতিপুত্র প্রকৌশলী রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৮২ হাজার ৭৪৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে আবু ওয়াহাব পেয়েছেন ১০ হাজার ৫৩৯ ভোট।
কিশোরগঞ্জ-৫ (নিকলী-বাজিতপুর) আসনে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন বর্তমান এমপি আফজাল হোসেন। তিনি পেয়েছেন ৮৪ হাজার ৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ঈগল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল। তিনি পেয়েছেন ৫৮ হাজার ৭৬৩ ভোট।
কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনে বিজয়ী হয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য, বিসিবি সভাপতি সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত মো. জিল্লুর রহমানের পুত্র নাজমুল হাসান পাপন। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৯৮ হাজার ১৫৫ ভোট। এ আসনে মোমবাতি প্রতীক নিয়ে রুবেল হোসেন দ্বিতীয় হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৩ হাজার ২০৬ ভোট।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ