ঢাকা, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

টাঙ্গাইলে সিদ্দিকী পরিবারে বড় ভাইয়ের জয়, ছোট দুজনের পরাজয় 

প্রকাশনার সময়: ০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৫৯

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের (গামছা) প্রতীকের প্রার্থী ও দলটির সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম পরাজিত হয়েছেন। তবে টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে জয়ী হয়েছেন তার বড় ভাই প্রবীণ রাজনীতিক আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। তাদের অপর ভাই মুরাদ সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে পরাজিত হয়েছেন।

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-৮ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অনুপম শাহজাহান জয়ের সঙ্গে। অনুপম শাহজাহান জয় ৯৬ হাজার ৪০১ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাদের সিদ্দিকী পেয়েছেন ৬৭ হাজার ৫০১ ভোট।

বিজয়ী অনুপম শাহজাহান জয় টাঙ্গাইল-৮ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কৃষিবিদ শওকত মোমেন শাহজাহানের ছেলে। ২০১৪ সালে শওকত মোমেন শাহজাহানের মৃত্যুর পর জয় উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। কাদের সিদ্দিকী এ আসন থেকে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন।

লতিফ সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-৪ আসনে এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন। তিনি ট্রাক প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। লতিফ সিদ্দিকী ৭০ হাজার ৯৪০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোজহারুল ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু ৫৪ হাজার ৭৫ ভোট পেয়েছেন।

লতিফ সিদ্দিকী এ আসন থেকে এর আগে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। লতিফ সিদ্দিকী এরআগে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। ২০১৪ সালে সভায় হজ ও তাবলীগ জামাত সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার এবং মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণ করা হয়। গত সেপ্টেম্বরে তিনি কালিহাতীতে গণসংযোগ শুরু করেন।

টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের প্রার্থী ছানোয়ার হোসেন ৭২ হাজার ২৭৬ পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট মামুন অর রশিদ ৬৫ হাজার ৮৬৭ ভোট পেয়েছেন। লতিফ সিদ্দিকীর ছোট ভাই মুরাদ সিদ্দিকী ২০ হাজার ৭৯০ ভোট পেয়েছেন।

মুরাদ সিদ্দিকী এরআগে ২০০১ সালে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেন। পরে ২০০৮ সালের নির্বাচনেও তিনি ওই দল থেকেই প্রার্থী হন। এরপর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের রাজনীতি ছেড়ে দেন। ২০১৪ সাল ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ