টাঙ্গাইলের ৮টি আসনের মধ্যে পাঁচটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও তিনটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন।
রোববার (৭ জানুয়ারি) রাতে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম বেসরকারিভাবে তাদের বিজয়ী ঘোষণা করেন।
টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ি) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ড. আব্দুর রাজ্জাক (নৌকা) ১,৭৪,১২২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী খন্দকার আনোয়ারুল হক (ট্রাক) পেয়েছেন ৪,১৭৮ ভোট।
টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভুঞাপুর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছোট মনির (নৌকা) ১,৫১,৭৩০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনুস ইসলাম তালুকদার (ঈগল) পেয়েছেন ৩০,৪৮৬ ভোট।
টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আমানুর রহমান খান রানা (ঈগল) ৮২,৭৪৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থী ডা. কামরুল ইসলাম (নৌকা) পেয়েছেন ৬৯,০৩৫ ভোট।
টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী (ট্রাক) ৭০,৯৪০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোজহারুল ইসলাম তালুকদার (নৌকা) পেয়েছেন ৫৪,০৭৫ ভোট।
টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ মো. ছানোয়ার হোসেন (ঈগল) প্রতিকে ৭২,২৭৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থী মামুন অর রশিদ পেয়েছেন ৬৫,৮৬৭ ভোট।
টাঙ্গাইল-৬ (দেলদুয়ার-নাগরপুর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আহসানুল ইসলাম টিটু ১,১২,৬৮৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী তারেক শামস খান হিমু (ঈগল) পেয়েছেন ৩১,২৯২ ভোট।
টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী খান আহমেদ শুভ ৮৮,৩৯৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মীর এনায়েত হোসেন মন্টু (ট্রাক) পেয়েছেন ৫৭,২৩১ভোট।
টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী অনুপম শাহজাহান জয় ৯৬৪০১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী পেয়েছেন ৬৭৫০১ ভোট।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. কায়ছারুল ইসলাম জানান, ১২টি উপজেলার আটটি আসনের এক হাজার ৫৬ টি কেন্দ্রেভোট গ্রহণ করা হয়। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য ১২ প্লাটুন সেনাবাহিনী, ১৪ প্লাটুন বিজিবি, ১২ প্লাটুন র্যাব ও ১২ হাজার ৬৭২ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য দায়িত্ব পালন করে। এ ছাড়াও প্রতিটি কেন্দ্রে তিনজন পুলিশ সদস্য ও ১৫ জন আনসার সদস্য মোতায়েন ছিল। পুলিশের মোবাইল টিম ছিল ৭৬টি ও স্ট্রাইকিং ফোর্স ছিল ২৪টি টিম।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ