ঢাকা, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আ.লীগ নেতার ভাইয়ের নির্দেশে জোট প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা

প্রকাশনার সময়: ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:২৮

পটুয়াখালীতে ভোটকেন্দ্রে পরিদর্শনের সময় বাধার সম্মুখীন হয়েছে পটুয়াখালী-১ আসনের জোটের প্রার্থী ও জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার। এ সময় তার কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে।

রোববার (৭ জানুয়ারি) পটুয়াখালীর ইটবাড়িয়া ইউনিয়নের কচাবুনিয়া ভোটকেন্দ্রে বেলা পৌনে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

হামলার ঘটনায় রুহুল আমিন হাওলাদারের ব্যক্তিগত সহকারী মো. সোহেল মল্লিক, কর্মী মো. লিটন, মো. রাজা, মো. হানিফ হোসেন বাবু, সেলিম সহ আহত হয়েছে বেশ কিছু নেতাকর্মীরা।

সরেজমিনে দেখা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেনের বাড়ির পাশের ভোটকেন্দ্র কচাবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিদর্শনে যাওয়ার সময় পুকুরজনা ব্রিজের পরেই আফজাল হোসেনের আপন ভাই ও বাংলাদেশ কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থী নাসির উদ্দিন তালুকদারের সমর্থক অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন ও তার বাহিনী মিলে রুহুল আমিন হাওলাদারের গাড়ি বহরে বাধা দেয়। বাধা অতিক্রম করে ভোট কেন্দ্রের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে জোটের প্রার্থী রুহুল আমিন হাওলাদারের কর্মী-সমর্থকদের ওপরে লাঠিসোঁটা নিয়ে অতর্কিত হামলা করে তারা।

এ বিষয়ে জাতীয় পার্টি জোটভুক্ত প্রার্থী রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, নির্বাচনে পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগকে সব সময় কাছে পেলেও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেনকে কাছে পাইনি এবং আজ তাই আপন ভাই কামাল হোসেন আমাদের সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আশাকরি আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বিষয়টি দেখবেন কারণ তার দলের লোকেই এই হামলা চালিয়েছে। আমি আফজালের বিচার চাই।

রুহুল আমিনের সহকারী আহত সোহেল জানান, লাঙ্গল মার্কার প্রার্থী এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার ও তার সমর্থকরা কচাবুনিয়া ভোটকেন্দ্রে পরিদর্শনের জন্য যাওয়ার সময় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আফজাল হোসেনের ভাই কামাল হোসেনের নেতৃত্বে প্রায় ৫০/৬০ জন নেতাকর্মী লাঙ্গল সমর্থকদের ওপর আকস্মিকভাবে রামদা, লাঠি ও হাতুড়ি নিয়ে হামলা করে। এ ছাড়া লাঙ্গল মার্কার প্রার্থী ও সমর্থকদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকতেও দেয়নি তারা।

কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওইখানে শেষ মুহূর্তে গিয়ে উনি (রুহুল আমিন হাওলাদার) একটি উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছেন। তারপরে চলে এসেছেন। ওখানে কোনো হামলা হয়নি।

পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. জসিম জানান, আমরা শুনেছি দুপক্ষ এক জায়গায় হওয়ার পর কথা কথা কাটাকাটির এক পর্যায় দু'পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ