নড়াইল-২ আসনে ওয়ার্কার্স পার্টি মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী এ আসনের সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।
রোববার (৭ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে নড়াইল প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মলনে নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দেন। এসময় তিনি ভোট বাতিল করে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় কৃষক সমিতি নড়াইল জেলা শাখার সভাপতি মো. নওরজ মোল্যা, জেলা যুব মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক পারভেজ আলম বাচুসহ দলীয় নেতাকর্মীরা।
সংবাদ সম্মলনে তিনি বলেন, দুপুর ১২টা পর্যন্ত নড়াইল-২ আসনের বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোট সুষ্ঠু হচ্ছিল। কিন্তু এরপর থেকে পরিস্থিতি পাল্টাতে থাকে। তারা পরাজয় নিশ্চিত জেনে লক্ষীপাশা আরএন পাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নড়াইল শীবশংকর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ব্যানাহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইতনা উচ্চ বিদ্যালয়, রাধানগর চারিখাদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বোড়ামারা মাধ্যমিক ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তারাসি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তালবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুমড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে তাদের এজেন্ট বের করে দিয়ে নৌকার লোকজন ব্যালট পেপার নিয়ে জোরপূর্বক সিল মারা শুরু করে। এ ক্ষেত্রে প্রিসাইর্ডিং অফিসাররাও তেমন কোনো ভূমিকা পালন করছে না। আমি নিজ জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফুল হক চৌধুরী, পুলিশ সুপার মেহেদী হাসান, ভ্রাম্যমাণ টিমকে জানালেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। নৌকার প্রার্থীর পরাজয় নিশ্চিত জেনে নৌকার সমর্থকরা জবরদস্তিমূলকভাবে ব্যালট বাক্সে সিল মারা শুরু করেছে। তিনি আরও বলেন এ সরকারের আমলে যে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় তা আবারও প্রমাণিত হলো।
জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী বলেন, তার অভিযোগ সত্য নয়। তিনি একটি কেন্দ্রের বিষয় আমার কাছে অভিযোগ করলে আমি সঙ্গে সঙ্গে ওই কেন্দ্রে ম্যাজিস্ট্রেট পাঠালে ওয়ার্কার্স পার্টির এজেন্টকে ভোট কক্ষে দেখতে পান। ওই এজেন্টের কোনো অভিযোগ নেই। ওয়ার্কার্স পার্টি আসলে অধিকাংশ জায়গায় এজেন্ট দিতে পারেননি। সুষ্ঠু-শান্তিপ্রিয় ও চমৎকার পরিবেশে ভোট হচ্ছে বলে রিটানিং কর্মকর্তা জানান।
নড়াইল-২ আসন (লাহাগড়া ও নড়াইল সদরের একাংশ) থেকে মোট ৮জন প্রার্থী স্ব-স্ব প্রতীক নিয়ে নির্বাচনি লড়াইয়ে মাঠে রয়েছেন। প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান এমপি মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা, ওয়ার্কার্স পার্টির অ্যাড. শেখ হাফিজুর রহমান, জাতীয় পার্টির অ্যাড. ফায়েকুজ্জামান ফিরোজ, ইসলামী ঐক্যজোটের মাহাবুবুর রহমান, এনপিপির মনিরুল ইসলাম, গণফ্রটের মো. লতিফুর রহমান, স্বতন্ত্র মো. নূর ইসলাম এবং সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটু।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ