ঢাকা, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফলাফল যাইহোক, কাল শোডাউন দেব: মাহি 

প্রকাশনার সময়: ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৪৩ | আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:০৪

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে আজ রোববার সকাল ৮টা থেকে, চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। শীত উপেক্ষা করে সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। ‘ফলাফল যা হওয়ার হবে, আমি হারি আর জিতি ইনশাআল্লাহ কালকে (সোমবার) পুরো এলাকায় একটা শোডাউন দেব। হেরে গেলেও সবাইকে জানান দেব, আমি তাদের সঙ্গে আছি। ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ চলছে। প্রশাসন খুবই অ্যাকটিভ। সুন্দর করে সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট হচ্ছে।’

৭ জানুয়ারি সকাল ১০টার দিকে তানোর উপজেলার মুণ্ডুমালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন রাজশাহী-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। মাহি আসনটি থেকে ট্রাক প্রতীকে নির্বাচন করছেন।

প্রত্যেকটি কেন্দ্রে এজেন্ট দেওয়ার বিষয়ে মাহিয়া মাহি বলেন, সব কেন্দ্রেই এজেন্ট দেওয়া হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় কেউ (এজেন্ট) একটু লেট করেছে। কিছু কিছু জায়গায় এজেন্টরা সাক্ষর করে ঢুকতে লেট করেছে। তবে সব কেন্দ্রেই আমার লোকজন আছে। এটা আমার প্রথম নির্বাচন। আপনারা সবাই জানেন, অন্যদের মতো আমি একদম পুরোদস্তুর রাজনীতিবিদ না। অনেকেই আমার বয়সের আগে থেকে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তাদের কার্যক্রম যতটা মসৃণ হবে, সেখানে আমার তো একটু ঘাটতি থাকবেই। তবে ওভারঅল সবকিছু ভালোই আছে।

জয়ী হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, পাস করি, আর ফেইল করি। এখন আমার কাছে বড় বিষয় না। তবে আমি মানুষের এতো কাছাকাছি গিয়েছি, এতো বয়স্ক মানুষের দোয়া পেয়েছি, প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়েছি এবং অনেক মানুষের সাথে কথা বলেছি। মানুষের কষ্টের কথা শুনেছি, এর থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। তাদের জন্য আমার অনেক করণীয় আছে। আমি যদি সুপ্রিম পাওয়ার পাই, তাহলে বৃহৎ পরিসরে তাদের সহযোগিতা করতে পারব। আর না পেলেও আমি ব্যক্তিগত উদ্যোগে তাদের সহযোগিতা করব।

মাহিয়া মাহি বলেন, একটা বিষয় শেখার আছে। পাঁচ বছর জনগণের কাছাকাছি গেলে, তাদের কাছে গিয়ে ভোট চাইতে হবে না। আমি মনে করি আপনি যদি ৫ বছর সময় পান, তাহলে সেটি যথেষ্ট। প্রত্যেকটা জনগণের সাথে যোগাযোগ গড়ে তোলা সম্ভব। আমি যেহেতু প্রচারণার সময়টা কম পেয়েছি, এর মধ্যেও যথেষ্ট মানুষের কাছে গিয়েছি। ভোট কেন্দ্রগুলোতে তুলনামূলক নারীদের উপস্থিতি বেশি। ভোট দিতে আসার জন্য নারীদের যে একটা উচ্ছ্বাস।

প্রশাসনের কাছে প্রত্যাশা শুধু ভোট গ্রহণ সুষ্ঠু নয়, পুরো প্রক্রিয়াটা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে। কেউ কোনো ধরনের হট্টগোল করলে কেউ যেন ছাড় না দেয়। আমি শুনেছি, ভোট হতে হতে তিনটা থেকে ৪টার দিকে বিভিন্ন ভেজাল (বিশৃঙ্খলা) দেখা দেয়। এই রকম কেউ যাতে করতে না পারে, এটার জন্য শক্ত অবস্থানে থাকবেন এটা প্রত্যাশা করি।

নয়াশতাব্দী/আরজে

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ