রাজশাহী নগরীর রায়পাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. আজিত হোসেন। স্টোক করে প্যারালাইজড হওয়ার কারণে এক পায়ের হাটু পর্যন্ত এবং আরেক পায়ের সবগুলো আঙ্গুল কেটে ফেলা হয়েছে। এখন সম্পন্ন পঙ্গু হয়ে হুইল চেয়ার পঙ্গুত্ব জীবন যাপন করছেন। বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছেন। এই আজিত হুইল চেয়ারে করে সকাল ৮টায় কুয়াশার মধ্যে ভোট দিতে এসেছেন।
জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভোট মানেই আনন্দ। জীবনে অনেক ভোট দিয়েছেন। তাই ভোটের সময় এলে ঘরে বসে থাকতে পারেন না। তাই বাংলাদেশের বাসিন্দা হিসেবে ভোট তার অধিকার। তিনি তার অধিকার প্রয়োগ করতে ভোট দেন।
তিনি বলেন, আমার খুব ভালো লাগছে। জনগণ ভোট দিতে পারছে। কোনো সমস্যা হচ্ছে না। রাজশাহী নওদাপাড়া এলাকায় শাহ মখদুম হাইস্কুলে কেন্দ্রে তিনি ভোট দিতে এসে এভাবে অভিমত ব্যক্ত করেন আজিত হোসেন। বয়স তার ৭০ বছর।
রাজশাহী নগরীর বড়বনগ্রাম এলাকায় রায়পাড়া গ্রামে তার বাড়ি। পঙ্গু জীবনে অল্প পুঁজি নিয়ে মুদি দোকানদাড়ি করে তার সংসার চলে। ঘরে তার স্ত্রী রয়েছে। কোনো ছেলে নেই। একটি মেয়েকে এভাবে রোজগার করে বিয়ে দিয়েছেন। ১৫ বছর ধরে পঙ্গু হয়ে হুইল চেয়ার জীবন কাটছে তার। নির্বাচনে ভোট দিয়ে এমপি নির্বাচিত করে সহায়তা পাবেন বলে সেই আশায় ভোট দিতে আসেন। তবে এখনও কেউ তার পাশে দাঁড়ায়নি বলে জানান তিনি।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ