ঢাকা, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬
সুনামগঞ্জ-৩ আসন

১৮ বছর পর লাঙ্গলে ভোট দিতে পারছেন জাপার নেতাকর্মীরা

প্রকাশনার সময়: ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:৫৩

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৩ (জগন্নাথপুর-শান্তিগঞ্জ) আসনে ১৮ বছর পর জাতীয় পার্টির মনোনয়নে প্রার্থী হয়েছেন তৌফিক আলী মিনার। তিনি যুক্তরাজ্য প্রবাসী ও যুক্তরাজ্য জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। পেশায় একজন সাংবাদিক।

জাপা নেতাকর্মীরা জানান, এ আসনে এক সময় জাতীয় পার্টির শক্ত অবস্থান ছিল। ১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিয়ে সিলেট-১ ও সুনামগঞ্জ-৩ থেকে নির্বাচন করে হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী সংসদ সদস্য হন। এসময় তিনি সুনামগঞ্জ-৩ আসন ছেড়ে দিলে তার ভাই ফারুক রশিদ চৌধুরী উপ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হন। পরবর্তী ১৯৮৮ সালে নির্বাচনে অংশ নিয়ে ফারুক রশিদ চৌধুরী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে অর্থ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ভোট পেয়ে জাপার প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

২০০১ সালে এ আসনে সংসদ সদস্য হন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জাতীয় নেতা আবদুস সামাদ আজাদ। তিনি ২০০৫ সালে মৃত্যুবরণ করলে উপ নির্বাচনে সর্বশেষ জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচন করেন লে. কর্নেল অব. সৈয়দ আলী আহমেদ। তখন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ প্রচারণায় আসেন। জাপার প্রার্থী সম্মানজনক ভোট পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে থাকে। এরপর থেকে লাঙ্গল প্রতীকে জাপার আর কোনো প্রার্থী পাওয়া যায়নি।

জগন্নাথপুর উপজেলা জাতীয় পার্টির নেতা ফিরোজ রানা বলেন, ২০০৮, ২০১৪ ও ৩০১৮ সালের নির্বাচনে জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের মহাজোটে থাকায় আমাদের কোনো প্রার্থী ছিল না। দীর্ঘ ১৮ বছর পর এবার জাপার প্রার্থী থাকায় লাঙ্গল প্রতীক পেয়ে নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত।

জাতীয় পার্টির জগন্নাথপুর উপজেলা শাখার সভাপতি খলিলুর রহমান বলেন, জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জ উপজেলার প্রতিটি গ্রামে লাঙ্গলের ভোট রয়েছে। মহাজোটের প্রার্থীর বিজয় সুনিশ্চিতে লাঙ্গলের ভোটারদের ভূমিকা ছিল। এবার লাঙ্গল প্রতীকের সাথে নৌকা প্রতীকের মূল লড়াই হবে বলে আশা করছি।

জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী তৌফিক আলী বলেন, আমি জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাকালীন থেকে দলের সাথে সক্রিয় ছিলাম। জাতীয় যুব সংহতির উপজেলা শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালন করি। ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর যুক্তরাজ্যে চলে যাই। সেখানে জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও দেশে নেতাকর্মীদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ছিল। নির্বাচনি প্রচারণায় নেতাকর্মীদের সহযোগিতায় আশাবাদী লাঙ্গলের সঙ্গে নৌকার লড়াই হবে।

নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ