দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে আগামীকাল রোববার (৭ জানুয়ারি)। কক্সবাজারের চারটি আসনের ৫৫৬টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৯০ শতাংশই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে প্রশাসন। বিশেষ করে দ্বীপ উপজেলা মহেশখালী ও কুতুবদিয়া নিয়ে গঠিত কক্সবাজার-২ আসনে শতভাগ কেন্দ্রই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
কক্সবাজারের চারটি আসনে প্রার্থী রয়েছেন ২৬ জন। এরমধ্যে কক্সবাজার-১ আসনে সাতজন, কক্সবাজার-২ আসনে ছয়জন, কক্সবাজার-৩ আসনে ছয়জন ও কক্সবাজার-৪ আসনে সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
৪ টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ১৬ লাখ ৫০ হাজার ৯৬০ জন। তারমধ্যে, পুরুষ ভোটার ৮ লাখ ৭৩ হাজার ৪৮০ জন এবং মহিলা ভোটার ৭ লাখ ৭৭ হাজার ৪৭৮ জন। হিজড়া ভোটার রয়েছে জেলার মধ্যে। টেকনাফে মাত্র ২ জন। ৪ টি সংসদীয় আসনে মোট ভোট কেন্দ্র ৫৫৬ টি।
কক্সবাজার জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিশেষ করে সাগরদ্বীপ মহেশখালী ও কুতুবদিয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত কক্সবাজার-২ আসনে শতভাগ কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তা ছাড়া কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে ৯৮ শতাংশ, কক্সবাজার-৩ আসনের রামু ও ঈদগাঁও উপজেলার ৯০ শতাংশ ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সূত্র মতে, কক্সবাজার-১ (চকরিয়া- পেকুয়া) আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৬ হাজার ২৫২ জন। তারমধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৬০ হাজার ৪৮৮ জন এবং মহিলা ভোটার ২ লাখ ২৫ হাজার ৭৬৪ জন। এ আসনে মোট ভোটকেন্দ্র ১৫৮ টি। এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোট ৭জন।
কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৪৮ হাজার ১২৭ জন। তারমধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৮৫ হাজার ২৫৪ জন এবং মহিলা ভোটার ১ লাখ ৬২ হাজার ৮৭৩ জন। এ আসনে মোট ভোটকেন্দ্র ১১৮ টি। এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোট ৬ জন।
কক্সবাজার-৩ আসনে (সদর, রামু ও ঈদগাঁও) মোট ভোটকেন্দ্র ১৬৭টি। এর মধ্যে রামুতে ৬৪টি, কক্সবাজার সদরে ৭৬টি ও ঈদগাঁওয়ে ৩৬টি। এই আসনে ভোটারসংখ্যা ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৬১০।
কক্সবাজার-৪ আসনে (উখিয়া, টেকনাফ) ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১০৪টি। এর মধ্যে টেকনাফে ৫৭টি এবং উখিয়াতে ৪৭টি। এ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ২৬ হাজার ৯৭১ জন।
জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের তথ্যমতে, ৪ আসনে মোট ভোটার ১৬ লাখ ৫৩ হাজার ৯৬০ জন। অনুসন্ধানে জানা গেছে, ১৬ লাখ ভোটারের মধ্যে অন্তত ৪ লাখ সংখ্যালঘু ভোটার রয়েছেন। অধিকাংশ সংখ্যালঘু ভোটারের বসবাস কক্সবাজার পৌরসভা, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, রামু ও চকরিয়া উপজেলায়। সংঘাত-গোলযোগ দেখা দিলে ভোটের দিন সংখ্যালঘু ও নারী ভোটাররা কেন্দ্রে যাবেন কি না, সন্দেহ রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, ৫৫৬টি কেন্দ্রের সব কটিকে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। শান্তিপূর্ণভাবে এবং উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন করতে যা করা প্রয়োজন, আমরা তার প্রস্তুতি নিচ্ছি। ভোটকেন্দ্র দখল, ব্যালট ছিনতাই কিংবা গোলযোগের সুযোগ কাউকে দেওয়া হবে না।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ