সংসদীয় আসন ১৬ লালমনিরহাট আসন দুই সমাজকল্যাণমন্ত্রীর ভাইয়ের বউ, শ্যালকসহ ১৮ জন আত্মীয়-স্বজনকে প্রিসাইডিং ও সহকারী প্রিসাইডিং করা হয়েছে। এমন অভিযোগে জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ মন্ত্রীর স্বজনদের নির্বাচনের দায়িত্ব হতে অব্যাহতি দিয়েছেন।
এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা অভিযোগ তুলেছে, নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর নেতাকর্মী ও সমর্থকরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার হুমকি দিচ্ছে। হঠাৎ করে আজ শনিবার বিএনপির দুই শতাধিক নেতাকর্মী লাঠি হাতে শহরে ঝটিকা মিছিল করেছে। এ ঘটনায় রাজনীতির মাঠে কিছুটা হলেও উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
আগামীকাল ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচনকে ঘিরে নির্বাচন কমিশন ও জেলা প্রশাসন কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ভোটাররা যাতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারেন তার সকল আয়োজন চূড়ান্ত করেছে। এরমধ্যে সংসদীয় আসন ১৬ লালমনিরহাট আসন (আদিতমারী-কালীগঞ্জ) দুইয়ের স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সিরাজুল হক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মমতাজ উদ্দিন অভিযোগ করেন, করিম উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও করিম উদ্দিন সরকারি কলেজের অধ্যাপক, শিক্ষক, শিক্ষিকা মন্ত্রী মহদোয়ের ১৮ জন আত্মীয়কে প্রিসাইডিং ও সহকারি প্রিসাইডিং অফিসার করা হয়েছে। উদাহরণ টেনে বলেন, মন্ত্রীর শ্যালক এরশাদুল হক, আত্মীয় গোলাম ফারুক, মন্ত্রীর ছোট ভাইয়ের স্ত্রী লিপিকা চৌধুরি নির্বাচনে দায়িত্ব পেয়েছে।
তবে শনিবার বিকেলে জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ উল্ল্যাহ জানান, মন্ত্রীর কোনো আত্মীয়-স্বজনকে ভোটের দায়িত্বে রাখা হয়নি। সব লিস্ট পাল্টিয়ে ফেলা হয়েছে। ভোট শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে শনিবার দুপুর দেড়টায় বিএনপির শহরে একটি ঝটিকা লাঠি মিছিল করে। মিছিলটি বিএনপির অফিস হতে বের হয়ে শহরের প্রাণকেন্দ্র মিশন মোড় হতে সার্কিট হাউজ সংলগ্ন সেনামৈত্রী কাঁচাবাজারে গিয়ে শেষ হয়। লাঠি মিছিল হতে নির্বাচন প্রতিহতের আহ্বান জানিয়ে শ্লোগান দেয়া হয়।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ