ঢাকা, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুন, রাজবাড়ীর ৩ যাত্রী নিখোঁজ

প্রকাশনার সময়: ০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:১৭

আন্তঃনগর বেনাপোল এক্সপ্রেসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রাজবাড়ীর তিন যাত্রী নিখোঁজ রয়েছে।

শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাত সোয়া ৯টায় কমলাপুর রেলস্টেশনের অদূরে গোপীবাগে এ ঘটনা ঘটে।

নিখোঁজরা হলেন, এলিনা ইয়াসমিন (৩৫), চন্দ্রীমা চৌধুরী সৌমী (২৪) ও আবু তালহা (২৪)। পরিবারের ধারণা অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে এ তিনজন রয়েছে।

এলিনা ইয়াসমিনের বাড়ি রাজবাড়ী জেলার সদর উপজেলার নূরপুর গ্রামে। তার স্বামীর নাম সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন চপল। তিনি ঢাকায় চাকরি করেন। ১০ (২৬ ডিসেম্বর) দিন আগে এলিনা বাবার মারা যাওয়ার কারণে রাজবাড়ীতে আসেন। তার ৬ মাসের একটি ছেলে আছে। এলিনার ফুপাতো বোন, তার স্বামী বিপ্লব ও তাদের দুসন্তান নিয়ে একই ট্রেনে ঢাকায় যাচ্ছিলেন।

ট্রেনযাত্রী বিপ্লব জানান, রাত সোয়া ৯টার দিকে ট্রেনে আগুনের বিষয়টি বুঝে ওঠার সাথে সাথে শিশুসন্তানদের নিয়ে দ্রুত নেমে যাই। কিন্তু এলিনা নামতে পারেনি। নামার সময় আমার স্ত্রী রত্নার কাছে এলিনার শিশুপুত্র থাকায় সে বেঁচে যায়। এসময় ভিড়ের মধ্যে আমার শিশুপুত্র (৩) হারিয়ে যায়।পরে পুলিশের সহয়তায় খুঁজে পাই।

চন্দ্রিমা সৌমীর বাড়ি রাজবাড়ী সদর উপজেলার বেলগাছিতে। তার বাবার নাম চিত্তরঞ্জন চৌধুরী। সৌমীর ভাই শোভন জানান, সৌমী একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসি বিভাগে লেখাপড়া করত। সে আমাদের সাথে ঢাকায় মহম্মদপুরে থাকে। এদিন রাজবাড়ী থেকে এই ট্রেনে ঢাকায় ফিরছিল। দুর্ঘটনার পর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়ায় সে ঘটনাস্থলে যায়। অনেক হাসপাতাল ও ক্লিনিকে খোঁজাখুঁজির পরও তাকে পাওয়া যায়নি। অগ্নিদগ্ধ হওয়া মরদেহ শনাক্ত করতে সময় লাগায় আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।

অপরজন আবু তালহা। তার বাড়ি কালখালী উপজেলার মৃগী ইনিয়নের বড়ইচারা গ্রামে। তালহার বড়ভাই আবু তাসলাম জানান, সে রাজবাড়ী স্টেশন থেকে বেনাপোল এক্সপ্রেসে ঢাকায় আসছিল। ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের পর তালহার সাথে যোগাযোগ করতে চেষ্টা করি। কিন্তু তার ফোন বন্ধ পাওয়ায় আমরা দুঃচিন্তায় আছি।

নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ