সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় মায়ের কোল থেকে তুলে এনে আট বছরের সন্তান আরিফ বিল্লাহকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে বাবা। এ ঘটনায় হত্যাকারী ইয়াছিন আলীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা।
বৃহস্পতিবার (০৪ জানুয়ারি) রাতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আগরদাঁড়ি ইউনিয়নের ধলবাড়িয়া মাঠপাড়ার আশ্রয়ণ প্রকল্পের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের মা রোকেয়া খাতুন জানান, তার স্বামী মাদকাসক্ত ও অস্ত্র মামলার আসামি। এ নিয়ে স্বামীর সঙ্গে তার বিরোধ লেগেই থাকতো। মঙ্গলবার স্বামী তাকে মারপিট করলে আরিফকে নিয়ে তিনি তার নানা ধুলিহর গ্রামের ইজ্জত আলীর বাড়িতে আশ্রয় নেন। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে নানার বাড়ি থেকে আরিফকে নিয়ে চলে আসেন ইয়াছিন। পরে আর মোবাইলে যোগাযোগ হয়নি। এদিন ভোর সাড়ে তিনটার দিকে মোবাইল ফোনে খবর পান যে তাদের বাড়ি আগুনে পুড়ে গেছে। তাৎক্ষণিক স্বজনদের নিয়ে বাড়িতে এসে তিনি জানতে পারেন তার ছেলেকে ঘরের মধ্যে হত্যা করে দরজা লাগিয়ে বাইরে থেকে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে তার স্বামী।
তিনি আরও জানান, আগুন লাগানোর পর ওই বাচ্চার কোনো কান্না বা চিৎকার কেউ শুনতে পায়নি। তাই ধারণা করা হচ্ছে তাকে হত্যার পর মরদেহ ঘরের মধ্যে রেখে দরজায় ছিকল তুলে দিয়ে বাইরে থেকে আগুন দেওয়া হয়েছে। পরে স্থানীয় লোকজন তার স্বামীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।আরিফ বিল্লাহর দাদী মলুদা খাতুন জানান, ইয়াছিন তার ছেলেকে হত্যা করে ঘরে আগুন লাগিয়ে তার মামার বাড়ি আগরদাঁড়িতে যায়। সেখানে সে তার ছোট ভাই মামুনের পোষা ময়না পাখিটি ডানা ছিঁড়ে মেরে ফেলে। ভাই মামুনকে লাঠি দিয়ে পেটায় ইয়াছিন। একপর্যায়ে তার মামা তুহিন ও খালা শেফালী ছুটে এলে তাদেরকেও মারপিট করে ইয়াছিন। পরে তুহিনের ছেলে আকাশ এসে ইয়াছিনকে লাঠি দিয়ে আঘাত করলে সে পড়ে যায়। পরে ইয়াছিনকে ছিকল দিয়ে বেঁধে রেখে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক ( তদন্ত) নজরুল ইসলাম জানান, ইয়াছিন আলীকে আটক করা হয়েছে। ছেলেটির দেহ পুড়ে কঙ্কাল হ্ওয়ার কারণে তাকে চেনা যাচ্ছে না। এঘটনায় থানায় মামলাটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ