রাজশাহীতে তিনটি এবং ফেনীতে একটি ভোটকেন্দ্রে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার (০৫ জানুয়ারি) সকাল ৭টার দিকে ফেনীর সোনাগাজীতে এবং বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) রাতে রাজশাহীতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, রাজশাহীর তিনটি নির্বাচনি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে বাঘা উপজেলায় দুটি ও বাগমারায় একটিতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে বাঘা উপজেলার আড়ানী ইউনিয়নের জিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষের ১৫টি চেয়ার, টেবিল, আলমারিসহ আসবাবপত্র পুড়ে গেছে। এছাড়া বাগমারা উপজেলার গনিপুর ইউনিয়নের গনিপুর আক্কেলপুর উচ্চ বিদ্যালয়েরও কিছু আসবাবপত্র পুড়ে গেছে।
এবিষয়ে জিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুরাদ আলী বলেন, রাত সাড়ে ১১টার দিকে আগুন লাগে। অফিসের পেছনের জানালার ফাঁক দিয়ে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। পেট্রোল পড়ে থাকতে দেখা গেছে। এতে ধারণা করা হচ্ছে দুষ্কৃতকারীরা আগুন দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ করব।
রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম জানান, দুটি ভোটকেন্দ্রে আগুন দেয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে ফেনীর সোনাগাজীতে একটি ভোটকেন্দ্রে পেট্টোল ঢেলে আগুন দেয় দুবৃর্ত্তরা। শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার চরদরবেশ ইউনিয়নের চরসাহাভিকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। নির্বাচন বিরোধী জোট অথবা স্কুল ম্যানেজিং কমিটির দ্বন্দ্বের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। সকালে সোনাগাজী উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান এবং সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সুদ্বীপ রায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
স্থানীয় আবদুল কাদের বলেন, চর সাহাভিকারী উচ্চ বিদ্যালয়টি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ার কথা রয়েছে। এ কেন্দ্রে ৫ হাজারের বেশি ভোট রয়েছে। নির্বাচনের দুইদিন আগে ভোট কেন্দ্রে দুবৃর্ত্তের আগুন দেওয়া নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন থেকে স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সাথে বিরোধ চলে আসছে। ওই ঘটনার জেরে কেউ স্কুলে অগ্নিসংযোগ করতে পারে। অথবা চলমান বিএনপি জামায়াতের অসহযোগ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নির্বাচন বানচালের জন্য ভোট কেন্দ্র পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টাও হতে পারে।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সুদ্বীপ রায় জানান, সকাল ৭টার দিকে ৯৯৯ এ খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যান। আগুন লাগার কারণ উদঘাটনে বিএনপির অসহযোগ আন্দোলন অন্যদিকে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির বিরোধকে মাথায় রেখে তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় স্কুলের শিক্ষক মিলনায়তনের কক্ষের আলমিরায় থাকা ডকুমেন্ট, চেয়ার, টেবিল পুড়ে যায়। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক খায়ের উল্যাহ জানান, স্কুলের অডিট চলাকালে প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবদীনকে অব্যাহতি দেন সভাপতি ডা. আবদুল হক। এনিয়ে দীর্ঘদিনের চলমান বিরোধেও এই ঘটনা ঘটতে পারে।
সোনাগাজী উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা কামরুল হাসান জানান, ঘটনার কারণ তদন্ত করা হচ্ছে। ভোটের সময় নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হবে।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ