ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ওসির ফোন নম্বর ক্লোন, গ্রেফতার ২

প্রকাশনার সময়: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৫:৩০

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সরকারি মুঠোফোন নম্বর ক্লোন করে চার লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলো, চাঁদপুর জেলার মতলব (উত্তর) থানার মান্দারতলী গ্রামের সেফুল ইসলামের ছেলে নবীর হোসেন (৩২) ও নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার বারাহীনগর গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের ছেলে মাকছুদুর রহমান (৩৪)।

মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে, সোমবার দিবাগত রাতে প্রতারক চক্রের এ দুই সদস্যকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ভাটারা থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে চরজব্বর থানা পুলিশ।

চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক জানান, প্রতারক চক্র ৮টি বিকাশ নম্বরে ৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। বিকাশ ও বিভিন্ন এজেন্টের সহায়তায় দুই লাখ ৩০ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে।

তিনি আরও জানান, তাদের নাম্বার থেকে হাতিয়ে নেয়া টাকাগুলো ক্যাশ আউট করা হয়েছে বলে পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে। তারা দুজন বিকাশের এজেন্ট হিসেবে প্রতারক চক্রকে সহযোগিতা করে আসছিল।

ওসি জিয়াউল হক বলেন, তাদের দুজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া প্রতারক চক্রের বাকী সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

উল্লেখ্য, সুবর্ণচর উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. মনির আহমেদ যিনি আগামী ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ইউপি নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী।

বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) তার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে ভিন্ন দুটি নম্বর থেকে কল আসে। কলার নিজেকে চরজব্বর থানার ওসি পরিচয় দিয়ে আসন্ন নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করার জন্য তার কাছে টাকা চান। এছাড়া সঙ্গে থাকা আরেক জনকে নোয়াখালীর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দেন। চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে পরামর্শ করে অন্যান্য অফিসারদের ম্যানেজ করার জন্য চার লাখ টাকা পাঠাতে বলেন।

মনির চেয়ারম্যান জিডিতে উল্লেখ করেন, ওসি পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তির আটটি বিকাশ নম্বরে ৫০ হাজার টাকা করে মোট চার লাখ টাকা নেয়। এরপর রাত ৯টায় চেয়ারম্যানকে থানায় গিয়ে পরবর্তী কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে বলেন। রাত ৯টায় তিনি থানায় গিয়ে প্রকৃত ওসির সঙ্গে কথা বলে প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।

নয়া শতাব্দী/এসএম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ