সাংবাদিকদের মারধর এবং নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) করা মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন চট্টগ্রামের বাঁশখালীর এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী।
বুধবার (০৩ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-১ এর বিচারক জুয়েল দেবের আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনীত এই প্রার্থী। শুনানি শেষে আদালত মোস্তাফিজের জামিন মঞ্জুর করেন।
মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর আইনজীবী এসএম বজলুর রশিদ মিন্টু বলেন, ‘এমপি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তিনি আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেছেন।'
বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার বাদী বাঁশখালী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হারুন মোল্লা বলেন, নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে ইসির নির্দেশে আমি মামলা দায়ের করেছি। তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করায় আদালত তাকে জামিন দিয়েছেন।'
জানা যায়, গত ২৬ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম-১৬ আসনে নৌকা প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হারুন মোল্লা বাদী হয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘন ও সাংবাদিকদের মারধর করার অপরাধে মামলাটি দায়ের করেন।
এর আগে রোববার (২৪ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে এমপি মোস্তাফিজের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নির্দেশ দেন। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপসচিব মো. আবদুছ সালাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে মামলা দায়ের করতে বলা হয়।
নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন এবং সাংবাদিককে মারধর ও নাজেহালের অপরাধে নির্বাচনি আচরণবিধি আইনের ৮(খ) ধারায় এমপি মোস্তাফিজের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়। আদালত ফৌজদারী কার্যবিধি-২০০ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ করে এবং অপরাধ আমলে নিয়ে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। একইসঙ্গে আগামী ৩ জানুয়ারি মোস্তাফিজুর রহমানকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন আদালত। ইসির করা মামলাটি পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী।
উল্লেখ্য, গত ৩০ নভেম্বর চট্টগ্রামের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী যখন রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিচ্ছিলেন। তার সঙ্গে ঢুকে পড়েন ১৪-১৫ জন নেতাকর্মী। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে বের হলে ইন্ডিপেনডেন্ট টিভির সাংবাদিক রাকিব উদ্দিন প্রশ্ন করলে ঘটনার সূত্রপাত হয়। এ সময় দু-পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এমপি মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।'
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ