কয়েকদিন পরেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। পটুয়াখালীতে চারটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে বিভিন্ন দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। নির্বাচনকালীন সহিংসতা রোধে বিজিবির টহল তৎপরতা বেড়েছে।
পটুয়াখালী-১ (পটুয়াখালী-মির্জাগঞ্জ-দুমকী) আসনে জোটের হয়ে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী চালাচ্ছেন নিজেদের প্রচারণা ও পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পাশাপাশি শক্ত কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় পরিবেশ কিছুটা শান্ত রয়েছে। তবে পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) ও পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) আসনে নিয়ে রয়েছে সাধারণ মানুষের শঙ্কা। তবে গত তিন চার দিন ধরে বিজিবির তৎপরতায় এই শঙ্কা অনেকটাই নিরসন হওয়ায় স্বস্তিতে এলাকাবাসী।
কলাপাড়া উপজেলার ভ্যান চালক শহীদ মাতব্বর বলেন, এই কয়েকদিন আগেও আমাগো কলাপাড়ার বিভিন্ন জায়গায় পোলাপানের দল নিয়া ঘোরাঘুরি দেইখা ভয় করতো। অগো চলাফেরা দেইখা ভালো মনে হয় না। কেডা ক্যারে মারবে আর কেডা মরবে হের ঠিক নাই। ভোট দেতে যে জামু হেইডাই তো ভয় করতে বিডিআর নামছে পর দেখতাছি পোলাপাইনের দৌড়াদৌড়ি কমছে।
এদিকে ভোট কেন্দ্রে শান্ত পরিবেশে ভোট দিতে পারবে কিনা সেটা নিয়ে দিনমজুর শহীদের মতো অনেক সাধারণ ভোটাররা নিজেদের জানমালের নিরাপত্তা নিয়ে ছেলের উদ্বিগ্ন।সরেজমিনে দেখা গিয়েছে, সম্প্রতি বিজিবির টহল ও নজরদারিতে ভোটারদের মধ্যে জেগেছে প্রফুল্লতা। জেলার আটটি উপজেলায় কমেছে মোটরবাইকের মহড়া। কমেছে দল বেধে পাড়া-মহল্লার আড্ডাবাজি।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সাধারণ মানুষদের জান-মাল রক্ষার্থে পুলিশ র্যাবের পাশাপাশি শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলগুলোতেও টহল করছে বিজিবি। জেলার ৮টি উপজেলায় ভোটারদের নিরাপত্তা দিতে ও নির্বিঘ্নে ভোট প্রদানের নিশ্চয়তায় ম্যাজিস্ট্রেট সহ ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন রয়েছে।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ