স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রতীককে ‘কাউয়া-বাদুড়’ বলে আচরণবিধি ভঙ্গ করে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন রাজশাহী-৫ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কাজী আব্দুল ওয়াদুদ দারা।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) বেলা ৩টায় রাজশাহী-৫ আসনের অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ লুনা ফেরদৌসের কাছে সশরীরে হাজির হয়ে তিনি ব্যাখা দেন এবং নিঃশর্ত ক্ষমা চান।
ব্যাখায় কাজী আব্দুল ওয়াদুদ দারা বলেন, আমি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-৫ সংসদীয় আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী। আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ওবায়দুর রহমান যে অভিযোগ দায়ের করেছেন, তা বিদ্বেষপ্রসূত। আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাজশাহী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক। আমার দলের নেতাকর্মীরা দলের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মে লিপ্ত আছেন, তাদের কর্মের বিষয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে কি ধরনের নির্দেশনা আছে- আমি তাদের সেসব নির্দেশনা স্মরণ করিয়ে দিয়েছি।
তিনি ব্যাখায় আরও বলেন, কোনো ভোটারকে ভয়ভীতি প্রদর্শনের জন্য বা স্বতন্ত্র প্রার্থীকে অপদন্ত করার উদ্দেশ্যে আমি কখনো কোনো অশালীন বা অশোভনীয় বা তিক্ত বা উস্কানীমূলক বক্তব্য দেইনি। তারপরেও আমার বক্তব্য মহোদয়ের নিকট “সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরন বিধিমালা- ২০০৮” এর ১১ (ক) এং (ঙ) ধারার লঙ্ঘন বলে বিবেচিত হলে, আমি উক্ত বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশসহ নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
এর আগে, রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী যুবলীগ নেতা ওবায়দুর রহমানের ঈগল প্রতীক নিয়ে ব্যঙ্গ করায় আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আবদুল ওয়াদুদ দারাকে কারণ দর্শাতে বলা হয়। একইসঙ্গে নোটিশে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে কেনো দোষী সাব্যস্ত করা হবে না- তা জানাতে দারাকে সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেন নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ লুনা ফেরদৌসের আদালত।
এর প্রেক্ষিতে কাজী আব্দুল ওয়াদুদ দারা আজ ওই লিখিত জবাব দেন।
নয়া শতাব্দী/এনএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ