‘তুমি যাবে ভাই, যাবে মোর সাথে, আমাদের ছোট গাঁয়’, ‘এইখানে তোর দাদির কবর ডালিম-গাছের তলে’, ‘ও বাবু সেলাম বারে বার, আমার নাম গয়া বাইদ্যা বাবু, বাড়ি পদ্মা পার।’—এরকম বহু জনপ্রিয় কবিতা ও গান রচনার মধ্যে দিয়ে আবহমান গ্রাম-বাংলার মানুষের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্নার চিত্রকার পল্লী কবি জসীম উদ্দীনের ১২১ তম জন্মবার্ষিকী আজ (১ জানুয়ারি)।
১৯০৩ সালের ১ জানুয়ারি ফরিদপুর শহরতলীর কৈজুরী ইউনিয়নের তাম্বুলখানা গ্রামে নানা বাড়িতে জন্ম নেন পল্লীকবি জসীম উদ্দীন। কবির বাবার নাম আনছারউদ্দীন, মায়ের নাম আমেনা খাতুন। তিনি ১৯৭৬ সালের ১৪ মার্চ ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। নিমন্ত্রণসহ অনেক স্মরণীয় কবিতা, সোজন বাদিয়ার ঘাট, নকশিকাঁথাসহ অনেক কালজয়ী কব্যগ্রন্থ রচনা করে তিনি বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করে গেছেন। তিনি ১৯৭৬ সালে ইউনেস্কো পুরস্কার, ১৯৬৮ সালে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি লিট উপাধি, ১৯৭৬ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন।
উল্লেখ্য, জসীম উদ্দীন একদম অল্প বয়স থেকেই লেখালেখি শুরু করেন। কলেজে অধ্যয়নরত থাকা অবস্থায়, পরিবার এবং বিয়োগান্ত দৃশ্যে, একদম সাবলীল ভাষায় তিনি বিশেষ আলোচিত কবিতা কবর লিখেন। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাবস্থায় এই কবিতাটি প্রবেশিকার বাংলা পাঠ্যবইয়ে স্থান পায়।
নয়াশতাব্দী/আরজে
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ