ঢাকা, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ কার্তিক ১৪৩১, ৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরকীয়া দেখে ফেলায় সায়মনকে খুন

প্রকাশনার সময়: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৪:৩৫

কুমিল্লায় পরকীয়া দেখে ‘দেইখা ফালাইছি হগলরে কইয়া দিমু’ বলায় সায়মন নামের এক শিশুকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় জড়িত মো. খেলু পাঠানের ছেলে মো. বিল্লাল পাঠান (৪২) নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৩১ ডিসেম্বর) প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, এ বছরের ১৬ আগস্ট থেকে কুমিল্লার তিতাস উপজেলার কলাকান্দি গ্রামের খোরশেদা আক্তারের (৪০) ছেলে সায়মন (৭) নিখোঁজের পর ১৯ আগস্ট সকালে কড়িকান্দি ইউনিয়নের কলাকান্দি বালুর মাঠের ঝোঁপে শিশু সায়মনের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে শিশুর মা খোরশেদা আক্তার তিতাস থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বলেন, এঘটনার পর পুলিশ মো. বিল্লাল পাঠানকে গ্রেফতার করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে বিল্লাল এবং মামলার এজাহারনামীয় আসামি শেফালী আক্তার (৪২) জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। বিল্লাল জানায়, শেফালী আক্তার সম্পর্কে তার জেঠস (স্ত্রীর বড় বোন)। শেফালীর স্বামী প্রবাসী হওয়ায় তাদের মাঝে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ১৬ আগস্ট বিকেলে বিল্লাল পাঠান ও শেফালী অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়। এসময় বাড়িতে খেলতে যাওয়া শিশু সায়মন তাদেরকে দেখে ফেলে। এসময় সায়মন বলে, ‘দেইখা ফালাইছি হগলরে কইয়া দিমু।’ এমন কথা শুনে বিল্লাল আতঙ্কিত হয়ে সায়মনের গলা ও মুখ চেপে ধরে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরে তাকে উপুর্যপরি ছুরিকাঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে প্লাস্টিকের বস্তায় করে খাটের নিচে রেখে দেয়। রাত ১২টার পর মরদেহ বাড়ির পাশে বালুর মাঠে কাশবনের ঝোঁপে ফেলে বাসায় চলে যায়।

পুলিশ সুপার আরও জানান, শেফালী আক্তারকে ঘটনার চারদিন পর গত ২০ আগস্ট ডিবির তিতাস উপজেলা থেকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে। হত্যায় ব্যবহৃত রক্তমাখা প্লাষ্টিকের বস্তা উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত মো. বিল্লাল পাঠানের নামে দুইটি মারামারির মামলা আছে।

নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ