বিএনপি-জামায়াতের উপর আল্লাহ নারাজ হয়ে গেছে। কারণ তারা ফিলিস্তিনের এই হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে একটি কথাও বলে নাই বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
শনিবার দুপুর থেকে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার কোদালা ইউনিয়নের গোয়ালপুরা বাজার, কোদালা বাজার, চা বাগান এলাকাসহ কয়েকটি স্থানে চট্টগ্রাম-৭ আসনে নির্বাচনী পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, একদিকে আওয়ামী লীগ সরকার দেশের উন্নয়নের জন্য রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, রেললাইন বানায়, নদী ভাঙন রোধ করে, শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে বই দেই। আর বিএনপি নির্বাচন বর্জনের নামে দেশের সম্পদ নষ্ট করে দিচ্ছে। বাসে-ট্রেনে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করছে, আর মানুষ পোড়ায়। রাজনীতির নামে এভাবে মানুষ পোড়ানোর অপরাজনীতি দুনিয়ার কোথাও নাই। এগুলোকে আমি সন্ত্রাসী কর্মকা- বলে অবিহিত করি। এদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হলে সবাইকে কঠোর হাতে তাদের দমন করতে হবে।
এ সময় কোদালা চা বাগানের শ্রমিক, গ্রামের নারীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সাথে কথা বলেন এবং নৌকা মার্কায় ভোট প্রার্থনা করেন তিনি। এরপর রাঙ্গুনিয়ার সরফভাটা ও বোয়ালখালীর শ্রীপুর-খরনদ্বীপ ইউনিয়নে গণসংযোগ করেন তথ্যমন্ত্রী।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘে গিয়ে ফিলিস্তিনে বর্বর হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়েছে। আমি সরকারের তথ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রতিদিন এর বিরুদ্ধে কথা বলেছি। এই
আগামী ৭ জানুয়ারি আত্মীয়-স্বজন সবাইকে সাথে নিয়ে নৌকা মার্কায় ভোট প্রদানের আহবান জানিয়ে উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম-৭ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ড. হাছান বলেন, অনেকে বিএনপি ঘড়ানার মানুষ আছে, আমি জানি, তারাও অনেকে আমাকে ভোট দেই। রাঙ্গুনিয়ায় আগেও এমপি, মন্ত্রী ছিল। কেউ একটি মসজিদ ভবন বানিয়েছে দেখিয়ে দিতে পারবেননা। মসজিদের মধ্যে কিছু টাকা দিয়েছে বা এক-দুই টন টিআর দিয়েছে বলতে পারবে। তিনি বলেন, আমার পারিবারিক দাতব্য প্রতিষ্ঠান এনএনকে ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে রাঙ্গুনিয়ায় ২৪টি নতুন মসজিদ বিল্ডিং করে দিয়েছি। রাঙ্গুনিয়ার প্রতিটি মসজিদ, মন্দির ও প্যাগোডাসহ সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বরাদ্দ পেয়েছে।
গত ১৫ বছর সবার জন্য আমার দরজা খোলা রেখেছি, পাঁচ বছর পর আমি আপনাদের দুয়ারে এসেছি, আপনারা দয়া করে আপনাদের দুয়ারটি আমার জন্য খুলে দিবেন। ৭ জানুয়ারি সবাইকে সাথে নিয়ে নৌকা মার্কায় ভোট দিবেন সেই প্রত্যাশা রইল।
নির্বাচনী এ প্রচারণা কার্যক্রমে আওয়ামী লীগের জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নয়াশতাব্দী/জেডএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ