‘প্রবাসীর কল্যাণ, মর্যাদা আমাদের অঙ্গীকার, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ায় তারাও অংশীদার’- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারা দেশের ন্যায় ফরিদপুরেও প্রথমবারের মতো জাতীয় প্রবাসী দিবস পালিত হয়েছে।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) দিবসটি উপলক্ষ্যে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়।
র্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবারও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে বেলুন উড়িয়ে ও ফিতা কেটে প্রবাসী মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক। এ সময় তিনি মেলার ১১ টি স্টল পরিদর্শন করেন।
র্যালি শেষে ফরিদপুর জেলা প্রশাসন এবং জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের যৌথ আয়োজনে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ফরিদপুর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রামানন্দ পালের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার।
সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক আবু মো. রেজাউল করিম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) শৈলন চাকমা, ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি (আইএমটি) এর অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ আখতারুজ্জামান, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ম্যানেজার মাহামুদা সুলতানা, ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের জেলা সমন্বয়কারী খালিদ মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ, রেইস প্রকল্পের সহকারী পরিচালক মো. আশীক ছিদ্দিকী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন প্রবাসী কল্যাণ বিভাগের সহকারী কমিশনার মো. বদরুজ্জামান রিশাদ।
এ সময় বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে, মেরিন টেকনোলজির শিক্ষার্থীবৃন্দ, বেসরকারি ব্যাংক ও ব্র্যাকসহ অন্যান্য এনজিও প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, রেমিটেন্স যোদ্ধারা দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সরকার তাদের জন্য কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন ও প্রশিক্ষণ প্রদান, প্রবাসী আয় প্রেরণে প্রণোদনা প্রদানসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। দক্ষতার মাধ্যমে প্রবাসে গমন এবং নিরাপদ করতে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। প্রবাসে অবস্থানকে অর্থময় করতে এ দিবস ভূমিকা পালন করবে।
তিমি আরও বলেন, ১৪ থেকে ১৫ বছরের ছেলে মেয়েদের জন্মনিবন্ধনে বয়স বাড়িয়ে বিদেশে গমন করেছেন। দক্ষতা অর্জন না করে বিদেশে গমন করে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।
অন্যদিকে, বাড়ির লোকজন বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণের টাকা পরিশোধ না করতে পেরে মামলার শিকার হচ্ছেন।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ