শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১

পিরোজপুরে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আগুন

প্রকাশনার সময়: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৮:০৫

পিরোজপুর-৩ (মঠবাড়িয়া) আসনে ভুরিভোজের অনুষ্ঠান পণ্ড করে দেওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. রুস্তম আলী ফরাজীর কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ অফিসে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে ঈগলের নির্বাচনি সভা শেষে উপজেলার টিকিকাটা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড সুর্যমনি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় কলার ছড়ি ও ঈগল প্রতীকের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। আওয়ামী লীগ অফিসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী (কলার ছড়ি) শামীম শাহ নেওয়াজের সমর্থকরা স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. রুস্তুম আলী ফরাজীর (ঈগল মার্কার) সমর্থক ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদেরকে দায়ী করেছেন।

স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার টিকিকাটা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড সুর্যমনি বাসাবাড়ি এলাকায় ঈগলের নির্বাচনি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে ঈগলের কর্মী-সমর্থকরা মাইক বাজিয়ে ভুরিভোজের আয়োজন করে। খবর পেয়ে প্রশাসন এ আয়োজন পণ্ড করে দেয়। ফলে ভোররাতে ঈগলের কর্মী-সমর্থকরা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ অফিস ও কলার ছড়ি প্রতীকের নির্বাচনি কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। এতে কার্যালয়ের আংশিক পুড়ে যায়।

ভোরে স্থানীয় চায়ের দোকানি বাসুদেব ওঝা নিজের দোকানে যাওয়ার পথে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ অফিস কার্যালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা দেখে স্থানীয়দের খবর দেয়। পরে স্থানীয়দের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

টিকিকাটা ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী কলার ছড়ি প্রতীকের প্রধান সমন্বয়ক রিপন মাতুব্বর অভিযোগ করেন, ঈগল প্রতীকের কর্মী-সমর্থকরা নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে পথসভা শেষে মধ্যরাত অবধি মাইকে গান বাজনা প্রচারণা চালিয়ে ভুরিভোজের আয়োজন করে। প্রশাসন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে তা পণ্ড করে দেয়ায় ঈগলের কর্মী-সমর্থকরা ক্ষুদ্ধ হয়। পরে ভোররাতে ক্ষুব্ধ ঈগলের সমর্থকরা স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করে।

ওই ওয়ার্ডের ঈগল প্রতীকের টিকিকাটা ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ড সমন্বয়কারী ও ইউপি সদস্য বাবুল হাওলাদার জানান, আওয়ামী লীগ অফিসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ঈগল প্রতীকের কর্মী-সমর্থকরা জড়িত নয়। তবে নির্বাচনি পথসভা শেষে কর্মী সমর্থকদের জন্য রান্নাবান্নার আয়োজন চলছিল তা প্রশাসন এসে বাধা দিলে আমরা বন্ধ করে যে যার মতো বাড়িতে চলে যাই।

মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনি কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ