আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা জমে উঠেছে। ভোটকে সামনে রেখে গণসংযোগে ব্যস্ত প্রার্থীরা। শহর থেকে গ্রাম, সব জায়গায় প্রচারণা এখন তুঙ্গে। ভোটারদের বিশ্বাস অর্জনের চেষ্টায় রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা দিচ্ছেন বিভিন্ন আশ্বাস।
দলীয় নির্বাচনী ইশতেহারের পাশাপাশি প্রত্যেক প্রার্থী নিজ এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়নকাজের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। এর অংশ হিসেবে ১০টি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন পিরোজপুর-২ (ভান্ডারিয়া-কাউখালী-নেছারাবাদ) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন মহারাজ। তিনি ঈগল প্রতীকে নির্বাচন করছেন। জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী পিরোজপুর জেলা পরিষদের সাবেক এই প্রশাসক ও চেয়ারম্যান।
মহিউদ্দিন মহারাজের ১০টি প্রতিশ্রুতি-
১. নির্বাচনী এলাকার মানুষের শিক্ষা, চিকিৎসা ও নিরাপদ বাসস্থান নিশ্চিত করা।
২. ভান্ডারিয়া, কাউখালী ও নেছারাবাদে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং অবকাঠামো গড়ে তোলা। পিছিয়ে পড়া কাউখালী এবং নেছারাবাদ উপজেলা নিয়ে বৃহৎ উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ।
৩. গ্রামগঞ্জের শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে মাঠ নির্মাণ।
৪. প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্পের মাধ্যমে বিনামূল্যে চিকিৎসা এবং ওষুধ বিতরণ।
৫. দারিদ্র্য ও বেকারত্ব নিরসনে ব্যক্তি ও সরকারি উদ্যোগে শিল্পকারখানা স্থাপন।
৬. বাল্যবিয়ে রোধে সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে কর্মসূচি গ্রহণ।
৭. মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিন ও পুরোহিতদের সম্মানী ভাতা দিতে সংসদে প্রস্তাব রাখা।
৮. পরিবেশদূষণ রোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সামাজিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন।
৯. জাতীয় দিবসগুলোতে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ।
১০. নদীভাঙনে কাউখালী-নেছারাবাদের বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোর জন্য ব্যক্তি ও সরকারি উদ্যোগে গৃহনির্মাণ। পাশাপাশি উপকূলে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ।
স্বতন্ত্র প্রার্থী মহিউদ্দিন মহারাজ বলেন, ‘এমপি নির্বাচিত হলে ভোটারদের দেওয়া এই ১০টি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করবো।’
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ