আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জন্য পিরোজপুর-২ আসনের হেভিওয়েট স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মহিউদ্দীন মহারাজ ঈগল প্রতীক নিয়ে প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন। নির্বাচন যতো ঘনিয়ে আসছে ততোই নির্বাচনের প্রচারণার লড়াই যেন প্রখর হতে শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে নির্বাচন উপলক্ষ্যে কুড়িয়ানা আর্য সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এক উঠান বৈঠক করেন মহিউদ্দীন মহারাজ। এই আসনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু।
বৈঠকে মো. মহিউদ্দীন মহারাজ বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা ছোট ছোট কিছু দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করানোর জন্য নৌকা ধার দিয়েছেন। এখানে নৌকা পেয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) সাইকেল দল। আগামী ৭ জানুয়ারির পর তারা আর নৌকা থাকবে না। সামনে তারা আর নিজেদের নৌকার লোক দাবি করতে পারবে না।
মহিউদ্দীন মহারাজ আরও বলেন, এই ঈগল প্রতীক জননেত্রী শেখ হাসিনার সমর্থিত প্রতীক। আর তিনি নৌকা ধার করে এনে নির্বাচন করছেন। তাই ধার করা নৌকাকে আপনারা ভোট দেবেন না। কারণ নির্বাচনের পর তারা আর নৌকা থাকবে না। তখন তারা হয়ে যাবে সাইকেল। আমার ঈগল ঠিকই নৌকা হয়ে যাবে। আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে আপনাদের ভালোবাসায় বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবো। তাই আপনারা আগামী ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত আমার ঈগল প্রতীক পাহারা দিয়ে রাখুন; আমি আপনাদের সারা জীবন পাহারা দিয়ে রাখব।
স্বতন্ত্র প্রার্থী মহিউদ্দীন মহারাজ পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। তিনি আসন্ন সংসদ নির্বাচনে পিরোজপুর-২ (কাউখালী, ভান্ডারিয়া ও নেছারাবাদ) আসন থেকে নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। নৌকা না পেয়ে তিনি এ আসন থেকে স্বতন্ত্র হিসেবে ঈগল প্রতীকে প্রার্থী হয়েছেন।
আটঘর কুড়িয়ানা ইউপি চেয়ারম্যান মিঠুন হালদারের সভাপতিত্বে উঠান বৈঠকে বক্তব্য রাখেন, নেছারাবাদ উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হক, কাউখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান তালুকদার পল্টন, নেছারাবাদ উপজেলা মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান নার্গিস জাহান, নেছারাবাদ উপজেলার বলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. সাইদুর রহমান সাইদ, সোহাগ দল ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ, সমুদয়কাঠি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সবুর তালুকদার, নেছারাবাদ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. এ কে এম শহিদুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ