দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইল-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিতে ইচ্ছুক সৈয়দ ফয়জুল আমিরকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তার প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল নামঞ্জুর করে ইসির দেওয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়েছে।

পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের (ইসির) সিদ্ধান্ত বাতিল প্রশ্নে রুল জারি করেছেন আদালত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক।

বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. ইকবাল কবির ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ইসির সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা এক রিটের শুনানি শেষে এই আদেশ দেন আদালত।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাছরিন ও ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন মুহাম্মদ আনিছুজ্জামান ও কামরুন্নাহার মাহমুদ দীপা।

এর আগে তথ্য গোপনের অভিযোগে গত ৩ ডিসেম্বর সৈয়দ ফয়জুল আমিরের প্রার্থিতা বাতিল করেন নড়াইলের রিটার্নিং অফিসার। পরে রিটার্নিং অফিসারের আদেশের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের আপিল ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন ফয়জুল আমির। গত ১৪ ডিসেম্বর শুনানিতে প্রার্থিতা ফিরে পেতে করা আপিল আবেদন নামঞ্জুর করে আদেশ দেন ইসির আপিল ট্রাইব্যুনাল।

এরপর ইসির আপিল ট্রাইব্যুনালের আদেশ স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন সৈয়দ ফয়জুল আমির। রিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), নির্বাচন কমিশনের সচিব ও নড়াইলের রিটার্নিং অফিসারকে বিবাদী করা হয়।

ওই রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট সৈয়দ ফয়জুল আমিরের মনোনয়নপত্র গ্রহণ করে তাকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে ইসির আপিল ট্রাইব্যুনালের আদেশ আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে রুল জারি করেন আদালত।

জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জরুল হক বলেন, নড়াইল-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল আমিরকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ বিষয়ে ইসির আপিল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া সিদ্ধান্ত আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন আদালত। পাশাপাশি রুল জারি করা হয়েছে।

লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফয়জুল আমির আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন।

নয়া শতাব্দী/এসএ