চাঁদা না দেওয়ায় ঝিনাইদহ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কামাল উদ্দিনের অফিস কক্ষ ভাঙচুর করলো সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ তুষার পারভেজ। এ সময় অফিসের ফাইলপত্র তছনছ করে ছিড়ে ফেলে রেখে যায়।
গত ২৪ ডিসেম্বর বিকালে তৃতীয় তলায় অবস্থিত নির্বাহী প্রকৌশলীর অফিস কক্ষে ঢুকে এ তাণ্ডব চালায়। বৃহস্পতিবার বিকালে ঝিনাইদহ পৌর মেয়র প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে এসব তথ্য জানায়।
ঝিনাইদহ পৌর মেয়র মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী হিজল জানান, গত ১৮ ডিসেম্বর সকালে পৌরসভার পৌর সার্ভেয়ার মো. শরিফুল ইসলাম ও চেইনম্যান মো. সাগর হোসেন ০৩ নং ওয়ার্ড এর কাউন্সিলর আলাউদ্দিন জোয়ার্দার (লাড্ডু) এর সঙ্গে শিকারপুর গ্রামে সরকারি রাস্তার সীমানা নির্ধারণ করার জন্য যাওয়ার পথে কালিকাপুর বটতলা স্থানে গেলে তুষার পারভেজ তাদের গতিরোধ করে চড়াও হয় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ খুন কারার হুমকি প্রদান এবং শারীরিকভাবে তাদের আঘাত করে আহত করে। এরই প্রেক্ষিতে তার সহযোগী ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ থানায় এজাহার দায়ের করা হয়। এরপর ২৪ ডিসেম্বর আদালত থেক জামিন হয়ে ঐদিনই বিকালে তুষার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কামাল উদ্দিনের কক্ষে প্রবেশ করে এবং উচ্চ স্বরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ও নির্বাহী কর্মকর্তা কোথায় জানতে চায় এবং পৌর নির্বাহী কর্মকর্তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
তারপর নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে। নির্বাহী প্রকৌশলী চাঁদা দিতে অসম্মতি জানায়। এসময় তুষার পারভেজ তার কোমরে রক্ষিত ধারালো চাইনিজ কুড়াল বের করে নির্বাহী প্রকৌশলী ও কক্ষে থাকা অফিস স্টাফ মো. আব্দুর রহমান (রিপন) সহকারী কর নির্ধারকদের মাথায় কোপ মারতে চেষ্টা করে। আত্মরক্ষারর্থে নির্বাহী প্রকৌশলী ও মো. আব্দুর রহমান (রিপন) চেয়ার তুলে মাথার উপর মারা কোপ ঠেকায় এবং কক্ষ হতে দ্রুত দৌড়ে বের হয়ে পার্শ্ববর্তী কক্ষে প্রবেশ করে আত্মরক্ষার্থে দরজা বন্ধ করে দেয়। এই সুযোগে আসামি তুষার ও তার সহযোগীরা আসবাবপত্র ভাঙচুর, কম্পিউটার সেট, চেয়ার, টেবিল, প্রিন্টার ও গ্লাস ভেঙ্গে রেখে যায়।
এ সময় তারা রক্ষিত অতিব গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র তছনছ করে ছিড়ে ফেলে রেখে যায়। তারা নির্বাহী প্রকৌশলীর টেবিলের ড্রয়ারে থাকা নগদ ৫৬ হাজার ৫ শত টাকা লুট করে নিয়ে যায়। আমার নামে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে করতে পৌরসভা ভবন ত্যাগ করে।
তিনি আরও জানান, এ কারণে আমরা শংকিত ও আতংকিত।
ঝিনাইদহ পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুস্তাক আহমেদ জানান, এ বিষয়ে ঝিনাইদহ থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সরকারি ছুটি ও পৌরসভার কাজে মেয়র খুলনায় থাকায় বিষয়টি আজকে সাংবাদিকদের জানানো হলো।
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহীন উদ্দিন জানান, থানায় দুটি মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা চলছে। তুষার পারভেজের নামে ১১টি মামলা রয়েছে। সে সন্ত্রাসী ও দুর্র্ধষ বলে তিনি জানান।
নয়াশতাব্দী/জেডএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ