ঢাকা, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফাঁকা মাঠে গোল দেবেন নৌকার মাঝি সেলিম মাহমুদ

প্রকাশনার সময়: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৯:১৬

চাঁদপুর-১ কচুয়া আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ। দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন।

হলফনামায় বিভিন্ন অসঙ্গতি থাকার কারণে গোলাম হোসেনের প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যায়। জাতীয় পার্টির প্রার্থী ডা. শহীদ উল্লাহ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিলে অনেকটা ফাঁকা মাঠে গোল দেবেন দুইবারের কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ।

তার সঙ্গে লড়াই করতে টিকে রয়েছেন ইসলামী ঐক্য ফ্রন্ট বাংলাদেশ চেয়ার প্রতীকে সেলিম প্রধান ও জাতীয় সমাজ তান্ত্রিক দল জাসদের মশাল প্রতীকে প্রার্থী মো. সাইফুল ইসলাম সোহেল। এই দুই প্রার্থীকে ভোটাররা কেউই চেনেন না। মাঠে শক্তিশালী প্রার্থী না থাকলেও সেলিম মাহমুদ ঠিকই জোরেশোরে প্রচারণা শুরো করছেন। ২৫ ডিসেম্বর সেলিম মাহমুদের নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নিতে তার সফর সঙ্গী হয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের নেতৃত্বে একঝাঁক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ কচুয়া আসনে পথসভা ও গণসংযোগের অংশ নিয়ে কচুয়াবাসীকে তাক লাগিয়ে দেন।

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরকে সরিয়ে আওয়ামী লীগ এই আসনে দলের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদকে মনোনয়ন দিলে আওয়ামী লীগের আরেক বিদ্রোহী প্রার্থী এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণায় তাদের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। তবে গোলাম হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ায় আলোচনা থমকে যায়। এখন সেলিম মাহমুদ অনেকটা ফাঁকা মাঠে গোল দেবেন মনে করছেন ভোটাররা। তাদের মতে তিনিই এ আসনে অলিখিত নৌকার মাঝি। কথায় আছে, কপালে থাকলে ঠেকায় কে!

উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনটি আওয়ামী লীগের দখলে যায় এমপি হন মিসবাহ উদ্দিন খান। ১৯৯৬ সালে এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মিসবাহ উদ্দিন খানকে পরাজিত করে বিএনপি প্রার্থী ড. অ.ন.ম এহসানুল হক মিলন বিজয়ী হন। কিন্তু সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। তখন তার ভাই ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর টেকনোক্র্যাট কোটায় ৪টি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে মন্ত্রী পরিষদের স্থান দখল করে নেন। ২০০১ সালে জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী এহসানুল মিলনের দখলে চলে যায় এ আসনটি। ২০০৮ সালে থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত এ আসনে তিনবারের এমপি হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর। এবার সংসদীয় আসনে তার জায়গায় ড. সেলিম মাহমুদকে আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন দেয়। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী গোলাম হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল হলে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন সেলিম মাহমুদ।

তার প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন ইসলামি ফ্রন্ট বাংলাদেশ সেলিম প্রধান ও জাসদের সাইফুল ইসলাম সোহেল। তাদের দুজনই নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণা চোখে পড়ার মতো নয়। নির্বাচনের ৮ দিন বাকি থাকলেও কচুয়ায় নির্বাচনি রাজনীতির মাঠ এখনো উত্তাপ ছড়ায়নি।

নয়াশতাব্দী/জেডএম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ