ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

সীমান্তে ধাওয়া খেয়ে চোরাকারবারীর রহস্যজনক মৃত্যু

প্রকাশনার সময়: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ২০:৫৮

লালমনিরহাটের জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার দৈইখাওয়া সীমান্তে চোরাকারবারী গোবিন্দনাত বর্মন (২৮) রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বুধবার বৈকালে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ থানায় নিয়ে গেছে।

সীমান্ত গ্রাম সূত্রে জানা গেছে, দৈইখাওয়া গ্রামের মৃত সুরেশ চন্দ্রের সাধুর পুত্র গোবিন্দনাথ বর্মন (২৮) গরু, মাদকসহ সীমান্তের নানা অবৈধ ও অনৈতিক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত৷ সে অবৈধ ভাবে ভারতের অভ্যান্তরে নৌহাটি নামক স্থানে প্রবেশ করে ছিল। গতকাল গভীর রাতে ভারতীয় ৭৫ নৌহাটি বিএসএফ ক্যাম্পের টহলটল দলের সদস্যরা তাকে ধাওয়া করে। সে দৌড়ে সীমান্ত পিলার ৯০১/৮ এস থেকে আনুমানিক ১.৫ কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে উত্তর গোতামারী গ্রামের তার পরিচিত প্রতিবেশী মৃত আইন উদ্দিনের পুত্র মো. একরামুল হক বাড়িতে আশ্রয়গ্রহণ করে। সেখানে রাত্রীযাপন করে। সকাল গড়িয়ে দুপুর হলেও ব্যক্তিটি ঘুম থেকে সজাগ হয়নি। পরে প্রতিবেশীরা দেখতে পায় ঘুমন্ত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছে।

সীমান্তের একটি সূত্রে জানা গেছে, জাহিদ গ্রুপের সঙ্গে গরু ও মাদক ব্যবসার দ্বন্দ্বে তাকে ভারতে ডেকে নিয়ে সুকৌশলে বিষ প্রয়োগে হত্যা করা হয়। এই শীতে প্রতিদিন দৈইখাওয়া, জাওরানি, বনচুকি সীমান্ত দিয়ে রাতে শতশত ভারতীয় গরু ও মাদক পাচার হয়ে আসছে। এই সীমান্ত ব্যবসা নিয়ে সীমান্তে একাধিক গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে।

সীমান্তে গ্রামের স্কুল শিক্ষক রফু জানান, সীমান্তে প্রতিটি মৃত্যু ও হত্যার পিছনে রহস্য লুকিয়ে থাকে। এসব মৃত্যু নিয়ে মিডিয়ায় যত সোরগোল হবে আইন শৃঙ্খলা ও রাজনীতিবিদদের তত পোয়াবারো ঘটে। লাখ লাখ টাকা ড্রিল হয়। রহস্য সেখানে ধামাচাপা পড়ে যায়।

হাতীবান্ধা থানা ওসি মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ জানান, মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করা হবে। রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

নয়াশতাব্দী/জেডএম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ