সারাদেশের ন্যায় সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় নতুন শিক্ষাক্রমের ‘শিক্ষাক্রম বিস্তরণ প্রশিক্ষণ’ ৭ দিনের কর্মসূচির সমাপ্তি হয়েছে।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) গত ১৭ ডিসেম্বর শুরু হওয়া এ প্রশিক্ষণ সমাপ্ত হয়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নির্বাচিত শিক্ষকগণ জেলা পর্যায়ে ৭ দিনের ট্রেনিং করে ‘মাস্টার ট্রেইনার’ হিসেবে যোগ্যতা অর্জন করে। এ উপজেলায় ১১টি বিষয়ের উপর ২৩ জন মাস্টার ট্রেইনার দক্ষতার সাথে তাদের সেশন পরিচালনা করেন। তাড়াশ ইসলামিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রশিক্ষণ ভেনু করে এই প্রশিক্ষণে উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত ৫শ ৭৯ জন শিক্ষক এ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।
বাংলা বিষয়ের মাস্টার ট্রেইনার মো. মানিক মিয়া বলেন, আমরা প্রশিক্ষণ নিয়েছি, তা উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষকদের সাথে শেয়ার করেছি। শিক্ষকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রশিক্ষণের প্রতিটি সেশনে অংশ নিয়েছি। ভালো ফিডব্যাক পেয়েছি।
ডিজিটাল প্রযুক্তি বিষয়ের মাস্টার ট্রেইনার দোবিলা ইসলামপুর সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মো. হাফিজুর রহমান বলেন, প্রথমে আমরা প্রশিক্ষণ নিয়েছি, সেটি সকল পর্যায়ের শিক্ষকদের সাথে শেয়ার করেছি। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এই প্রশিক্ষণ খুবই প্রয়োজন ছিল। শিক্ষকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছেন।
তাড়াশ ইসলামিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, প্রশিক্ষণে প্রদত্ত জ্ঞান কমলমতি শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় উৎসাহ বৃদ্ধি করবে। যা আগামী স্মার্ট বাংলাদেশে স্মার্ট শিক্ষার্থী বিনির্মাণে শিক্ষকদের গুরুত্ব থাকবে সকলের ঊর্ধ্বে।
উপজেলা অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার মো. নুরন্নবী বলেন, সফলতার সহিত শিক্ষকরা ৭দিনের প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। শিক্ষকরা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদেরকে সঠিক মূল্যায়ন করতে পারবেন এটি আমি বিশ্বাস করি। এ কারিকুলামের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সফল হবেই। এতে প্রথাগত পরীক্ষার চেয়ে ধারাবাহিক মূল্যায়ন বেশি হবে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুস ছালাম বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম সরকারের একটি ভালো উদ্যোগ। উন্নত দেশগুলো অনেক আগেই এ সিস্টেমে প্রবেশ করেছে, আমাদের তো সবেমাত্র শুরু। শিক্ষকরা যদি ভালোভাবে প্রশিক্ষণ শেষ করে শিক্ষার্থীদের মাঝে তা বিতরণ করতে সক্ষম হোন তবে এ কারিকুলাম সফলতা অর্জন করবে।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ