নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনে মোট ৯ জন প্রার্থী চূড়ান্ত ভোটের লড়াইয়ে মাঠে থাকলেও তাদের মধ্যে ৫ প্রার্থী ভোটারদের কাছে অচেনা-অজানা। ফলে তাদের নিয়ে কোনো আগ্রহ নেই ভোটারদের মাঝে। লড়াই হবে মূলত নৌকা ও ঈগলের মধ্যে।
এখানে নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুলের সঙ্গে দলের হেভিওয়েট স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ রয়েছেন। তবে কৃষক শ্রমিক জনতার মাঝে প্রচার-প্রচারণায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ওয়াকার্স পার্টির জেলা কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল (হাতুড়ি)। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের আরও দুজন ড্যামি প্রার্থী রয়েছে তারা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কর্নেল (অব.) রমজান আলী সরকার (কাঁচি) ও জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক কাজল রায় (ঢেঁকি)।
এছাড়া চূড়ান্ত লড়াইয়ে আরও ৫ প্রার্থী আলোচনায় থাকলেও প্রচারে নেই। সবাই অনেকটা নীরব। এ তালিকায় রয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. আশিক হোসেন। বয়সে তরুণ এই প্রার্থীর সাথে বর্তমান জাতীয় পার্টির কমিটি ও সাবেক কমিটির কোনো নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ নেই। ভোটাররা প্রতীক লাঙ্গল চিনলেও প্রার্থীকে চেনেন না। লালপুর উপজেলা জাতীয় পার্টির পূর্ণ কমিটির নেতাকর্মীরা গত ২৪ ডিসেম্বর লাঙ্গলের প্রার্থীকে বর্জন করে নৌকার প্রার্থী শহিদুল ইসলাম বকুলের হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে যোগদান করাই কর্মী শূন্য হয়ে পড়েছে আশিক হোসেন।
লালপুর উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আব্দুর রশিদ বাবু মাস্টার ও সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন বলেন, অযোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়ায় আমরা নৌকায় যোগদান করেছি।
অন্য দিকে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির প্রার্থী (একতারা) লিয়াকত হোসেন ও জাসদের (ইনু) প্রার্থী (মশাল) মোয়াজ্জেম হোসেন ও জাসদের বিদ্রোহী প্রার্থী (ট্রাক) মো. জামাল উদ্দিন ফারুকের নিজ ইউনিয়নের বাসিন্দারা জানান, তাদের কোনদিন রাজনীতির মাঠে দেখা যায়নি।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ