ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

হলুদের গালিচা চলনবিলের মাঠ

প্রকাশনার সময়: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ২১:১২

সবুজ পাতার ফাঁকে মাথা উচু করে ডাকছে হলুদ পাপড়ি। মাঠে মাঠে হলুদ ফুলে মৌ মৌ গন্ধ। মৌমাছির গুন গুন শব্দে মুখরিত হয়ে উঠেছে সরিষার বির্স্তীণ মাঠ। সেই মৌমাছি থেকে মধু আহরণে ব্যস্ত মৌয়ালরা।

প্রাকৃতির এই মনোরম দৃশ্য মন কাড়ছে দূর-দুরান্ত থেকে আসা অতিথিদের। হলুদ সরিষা খেতের ছবি তুলছেন শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষ। সেই সরিষার ফুলে ফুলে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন। এমনই এক অপরুপ রুপে সরিষার হলুদ ফুলে সেজেছে নাটোরের গুরুদাসপুর অধ্যুষিত চলনবিলের অবারিত সরিষার মাঠ।

চলনবিলে এ বছর প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। এর মধ্যে গুরুদাসপুরে সরিষা চাষ হয়েছে ১ হাজার ১১৫ হেক্টর। গত বছর উপজেলায় সরিষার চাষ হয়েছিলো ৯৮০ হেক্টর জমিতে।

সরেজমিনে চলনবিলের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মৌচাষিদের মধু আহরণের দৃশ্য। সারিবদ্ধভাবে সরিষার খেতের পাশে ফাঁকা জায়গায় রাখা হয়েছে মধু সংগ্রহের বাক্সগুলো। প্রতিটি বাক্স সরিষা জমিতে এক সপ্তাহ করে রাখা হয়। এ পদ্ধতিতে প্রতিটি বাক্স থেকে ৫-৭ কেজি মধু পাওয়া যায়। বর্তমানে চলনবিলে এ পদ্ধতি অবলম্বন করে প্রায় পাঁচ শতাধিক মৌচাষি মধু সংগ্রহ করছেন।

উপজেলার পোয়ালশুরা গ্রামের কৃষক শাহিন আলী বলেন, এ বছর আমি ৫ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছি। কৃষি অফিসের পরামর্শ নিচ্ছি নিয়মিত। জমিতে কোনো পোকা-মাকরের আক্রমন হয়নি। আশা করছি ভালো ফলন পাবো এবং লাভবান হবো।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হারুনর রশিদ বলেন, বাজারে ভোজ্য তেলের চাহিদা বাড়ায় কৃষকরা সরিষা চাষে আগ্রহী হচ্ছে। কৃষকদের প্রতিনিয়ত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর ১৩৫ হেক্টর জমিতে বেশি সরিষা চাষ হয়েছে। সরিষা খেতে মৌমাছি চাষে পরাগায়ণের মাধ্যমে ১৬-২০ ভাগ বেশি ফলন হয়ে থাকে।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ