ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

 শরীয়তপুরে রাতের আঁধারে ফসলি জমিতে পুকুর খনন

প্রকাশনার সময়: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৬:২২

ভূমি আইনে জমির শ্রেণি পরিবর্তন না করার বিধান থাকলেও তা মানছে না প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। তারা কৌশলে ফসলি জমি পুকুরে রূপান্তর করছেন নিয়মিত।

শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার কনেশ্বর ইউনিয়নের প্রিয়কাঠি গ্রামের ২০ একর জমিতে চাষাবাদ করে শতাধিক পরিবারের জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা হয়। সেই জমির এক প্রান্তে ৬০ শতাংশ জমি জুড়ে রাতের আঁধারে পুকুর খনন শুরু করেছে আবুল কালাম বেপারী নামে এক ব্যক্তি। পুকুর খনন সম্পন্ন হলে ২০ একর জমিতে জলাবদ্ধতাসহ চাষাবাদে সমস্যা হবে বলে ধারণা করছেন অন্যান্য কৃষকরা।

স্থানীয় কৃষক ইব্রাহীম সরদার, মালেক সরদার ও গনি কোতোয়াল অভিযোগ করে বলেন, প্রিয়কাঠি মৌজার ২০ একর জমিতে চাষাবাদ করে তারা জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। সেই জমিতে ২৪ ডিসেম্বর গভীর রাত থেকে একটি ভ্যাকু নামিয়ে পুকুর খনন কাজ শুরু করেছে স্থানীয় হাসমত আলী সরদারের শ্যালক আবুল কালাম বেপারী। পুকুর খনন সম্পন্ন হলে ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে। সেচ ব্যবস্থা ব্যাহত হবে। পুকুর খনন বন্ধ করে ফসলি জমি রক্ষার জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন এলাকার কৃষকগণ।

পুকুর খননকারী আবুল কালাম বেপারীর হয়ে তার ভগ্নিপতি হাসমত আলী সরদার জানান, ফসলি জমি খনন করে সেখানে পুকুর করা হবে।

কনেশ্বর ইউনিয়নে দায়িত্বরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, কৃষি জমি নষ্ট করার কোন সুযোগ নেই। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করব।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলমগীর মাঝি বলেন, এখানে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ করতে এসে ফসলি জমি নষ্ট করার কথা শুনে খুবই আশাহত হলাম। উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি অবগত করে ব্যবস্থা নিতে বলব।

নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ