ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

সমাজকল্যাণ মন্ত্রীকে নিয়ে বোমা ফাটালেন তারই ভাই 

প্রকাশনার সময়: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৪২ | আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৪৭

“সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহম্মেদ কখনো মুক্তিযুদ্ধ করেনি। অথচ নামের সামনে ব্যবহার করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমি ক্লাস ফোর এ পড়তাম। মুক্তিযোদ্ধা ছিলো আমার বাবা।আপনি তো ভারতে বসে কোস্টার ব্যবসা করেছেন। এসব কথা বলেন কালীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর ছোট ভাই মাহাবুবুজ্জামান আহম্মেদ।” ৯৬ সালে আপনি প্রথম যখন নমিনেশন পান তখন মুক্তিযোদ্ধার এই সার্টিফিকেট একজন আপনাকে তৈরি করে দিয়েছিলো। উনি কখনো এখানে আসলে একটাই জবাব নিবেন, আপনি কি সঠিক মুক্তিযোদ্ধা। যদি হ্যা" বলে তারপর আমাকে বলবেন আমি আসবো।

রোববার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে আদিতমারি উপজেলার কুমড়ীরহাট স্কুল মাঠে ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল হকের এক জনসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন কালীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর ছোট ভাই মাহাবুবুজ্জামান আহম্মেদ।

তিনি আরও বলেন, আমার মোবাইলে এখনো একটি রেকর্ড রয়েছে। একটি মিটিংয়ে মন্ত্রী বলেছে, ''আমার যে বাহিনী আছে, আমি যদি অডার দেই তাহলে উপজেলা চেয়ারম্যান কে বাড়ি থেকে টেনে হেঁচড়ে নামিয়ে বাসস্ট্যান্ডে সামিয়ানা টাঙ্গিয়ে পেটাবে। যে কোন সময়ে আমার ওপর হামলা করতে পারে। আমি আমার আত্মীয় স্বজনদের বলেছি আমার জীবন খুব হুমকির মধ্যে রয়েছে।

তিনি বলেন, ছেলে এবং তার এপিএস মিজানের জন্য আমাকে দূরে সরে দিয়েছে। আমি জেলা আ'লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলাম। সেখান থেকে আমাকে বাতিল করে তার ছেলেকে বসানো হয়েছে। বিভিন্ন কলেজ, স্কুলের সভাপতি আমি। আমার নাম কেটে তার ছেলের নাম বসানো হয়েছে।

উপজেলা ইউএনওকে বলে উপজেলা চেয়ারম্যান যেনো কোন সুযোগ সুবিধা না পায়। নয়ত তোমাকে ট্রান্সফার করবো। কোন অনুষ্ঠানে আমার নাম দিলে পুলিশ দিয়ে তাদের ধরে নিয়ে আসবে এমন হুমকিও দেয়। এছাড়াও নির্বাচনী এলাকায় তেমন কোন উন্নয়ন করেনি। যা উন্নয়ন করেছে সব নিজের, তার ছেলের এবং এপিএস মিজানের জন্য। ১৫৮ টি দুর্ণীতির লিস্ট তৈরি করে এনেছি, সময়ের সংকটে এগুলো বলতে পাচ্ছিনা।

প্রধান অতিথি ও ঈগল পাখি মার্কা প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন সুষ্ঠ নির্বাচন করতে হবে। এই নির্বাচনে নৌকা এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে কোন বাঁধা দেওয়া যাবে না। যার জনপ্রিয়তা বেশি থাকবে জনগণ তাকেই নির্বাচিত করবে এবং প্রধানমন্ত্রী তাকেই গ্রহন করবে।

এসময় জনসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন, আদিতমারি উপজেল চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস ফারুক, ভাদাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কৃষ্ণ কান্ত বিদূর, সারপুকুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির, কমলাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহমুদ উপর চিশতীসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

নয়াশতাব্দী/আরজে

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ