ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

পাবনায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনি অফিস ও সমর্থকের বাড়িতে হামলা ভাঙচুর

প্রকাশনার সময়: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৯:৪৪

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-৩ (চাটমোহর-ফরিদপুর-ভাঙ্গুড়া) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুল হামিদ মাস্টারের ট্রাক মার্কার নির্বাচনি অফিস ও এক সমর্থকের বাড়িতে হামলা ভাঙচুর এবং পোস্টার ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। থানায় পাল্টা-পাল্টি মামলা দায়ের হয়েছে। চাটমোহর উপজেলার রেলবাজার এলাকায় শুক্রবার ও শনিবার গভীর রাতে দুই দফা এ হামলার ঘটনা ঘটে।

পাবনা- ৩ আসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির কর্মকর্তা এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ তাজউল ইসলাম, চাটমোহর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুল ইসলাম ও চাটমোহর থানার ওসি সেলিম রেজা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

ভুক্তভোগী আব্দুল লতিফ রঞ্জু জানান, শুক্রবার রাত ১১টার দিকে নৌকা প্রতীকের একদল সমর্থক চাটমোহর রেলবাজার এলাকায় মিছিল করে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল হামিদ মাস্টারের ট্রাক প্রতিকের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে। এ নিয়ে তাদের কথা-কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি হয়। এ ঘটনার জেরে রাত সোয়া ২টার দিকে নৌকা প্রতিকের সমর্থক ফুরকান আলী বিশ্বাস ও এসএম আলম বাবলুর নেতৃত্বে একদল লোক আমার বাড়ির ফটকে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও ভাঙচুর চালায়। এ সময় তারা বাসা সংলগ্ন আমার ওষুধের দোকানে সাটার একটি সিসিটিভি ক্যামেরা ভাংচুর করে ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে নৌকার সমর্থকরা রেলবাজার এলাকায় অবস্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীর ট্রাক প্রতীকের নির্বাচনি অফিস ভাঙচুর করে এবং পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে।

এই ঘটনায় শনিবার রাতে চাটমোহর থানায় ভুক্তভোগী আব্দুল লতিফ রঞ্জু বাদী হয়ে মামলা করেছেন। অপরদিকে হামলায় অভিযুক্তদের একজন বাদী হয়ে পাল্টা মামলা করেছেন।

পাবনা-৩ এর আসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির কর্মকর্তা এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ তাজউল ইসলাম, চাটমোহর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুল ইসলাম ও চাটমোহর থানার ওসি সেলিম রেজা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

চাটমোহর থানার ওসি সেলিম রেজা বলেন, উভয়পক্ষ পৃথক দুটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ওই অভিযোগই মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ফুরকান আলী বিশ্বাস বলেন, আমরা তো কোনো হামলা করি নাই। বরং স্বতন্ত্র প্রার্থীর ছেলে ও তাদের কিছু লোকজন আমাকে মারধর করেছে। আমি এখন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে আছি।

স্বতন্ত্র প্রার্থী পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুল হামিদ মাস্টার বলেন, প্রচারণার শুরু থেকেই নৌকার প্রার্থীর সমর্থকরা একের পর এক হুমকি ধামকি দিয়ে চলেছে। তাদের পরাজয় নিশ্চিত জেনে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এখন শুরু করেছে ভাঙচুর। ভোটারদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। তিনি ন্যাক্কারজনক হামলা ভাঙচুরের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, আমি নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগ করবো।

নয়াশতাব্দী/জেডএম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ