ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

চুয়াডাঙ্গায় স্বতন্ত্র প্রার্থীকে হত্যার হুমকি, আ.লীগ নেতাসহ আটক ৫

প্রকাশনার সময়: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৭:৪৩

চুয়াডাঙ্গার ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিআইপি দিলীপ কুমার আগরওয়ালাকে হত্যার হুমকি দিয়ে নির্বাচনি প্রচারণায় বাধা এবং তার কর্মীদের ওপর আক্রমণ করেছে নৌকা প্রতীকের নেতাকর্মীরা।

এ ঘটনায় সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আলি আহাম্মেদ হাসানুজ্জামানসহ নৌকা প্রতীকের পাঁচ কর্মী-সমর্থককে পুলিশ হেফজতে নেয়।

শনিবার রাত সোয়া ১০টার দিকে উপজেলার ভান্ডারদহ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলীপ কুমারের প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কারী মো. আব্দুল মালেক রবিবার সদর থানায় ২২ জনের নাম উল্লেখসহ ১০০ থেকে ১২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেন। মামলা ধারা ১৪৩/ ৩৪১/ ৩২৩/ ৩২৫/ ৩০৭/ ৩৬৪/ ৫১১/ ৫০৬/ ১১৪/ ৩৪ (নম্বর-১৪)। ওই মামলায় পুলিশ হেফাজতে থাকা ৫ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে চুয়াডাঙ্গা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে (চুয়াডাঙ্গা অঞ্চল) সোপর্দ করে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আলি আহাম্মেদ হাসানুজ্জামান, ভান্ডারদহ গ্রামের আবদুল্লাহ আল ফারুক, সুমন হোসেন, যুগিরহুদার গ্রামের হাফিজুর রহমান ও ফুলবাড়ি গ্রামের জেহের আলী।

স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলীপ কুমার আগরওয়ালা রবিবার দুপুরে বলেন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলি আহাম্মেদ হাসানুজ্জামানের নির্দেশে নৌকার কর্মীরা আমাকে এবং আমার সঙ্গে থাকা কর্মীদের গাড়ি দীর্ঘসময় ধরে আটকে রাখেন। তারা নৌকার পক্ষে এবং আমার বিপক্ষে স্লোগান ও অশ্লীন গালাগাল দেন। গাড়ি থেকে নেমে এলে তারা মারমুখী আচরণ করেন। এ সময় একজন মাথায় পিস্তল ধরে অপহরণের চেষ্টা করেন এবং হত্যার হুমকি দেয়। পরে পুলিশের ভূমিকায় রক্ষা পাই।

তিনি আরও বলেন, আমার ধারণা ছিল একজন প্রার্থী হিসেবে সম্মান পাব, কিন্তু তারা তা করেনি।

প্রত্যক্ষদর্শী ও মামলার বাদী অ্যাডভোকেট আব্দুল মালেক জানান, চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলীপ কুমার আগরওয়ালা সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের নতুন ভান্ডারদহ গ্রামে নেতাকর্মীদের নিয়ে নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণা করছিলেন। এ সময় নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘণ করে ঈগল প্রতীক সমর্থকদের উপর আক্রমণ করে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ নিতে সরোজগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ি পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন চুয়াডাঙ্গা জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক ড.কিসিঞ্জার চাকমা, পুলিশ সুপার আর.এম.ফয়জুর রহমান এবং সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা-তুজ-জোহরা।

এদিকে, গ্রেফতারকৃতদেরকে দুপুর চুয়াডাঙ্গা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক লস্কর সোহেল রানা শুনানি শেষে ৪ জনের জামিন মঞ্জুর করলেও কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলী আহম্মেদ হাসানুজ্জামান মানিকের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।

নয়াশতাব্দী/জেডএম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ