জাতীয় পার্টির (জাপা) মনোনয়নে ময়মনসিংহ-৫ (মুক্তাগাছা) আসনে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি সালাউদ্দিন আহমেদ মুক্তি। তবে নির্বাচনি মাঠে প্রচার প্রচারণার জন্য টানানো পোস্টারে সালাউদ্দিন আহমেদ ‘জাতীয় পার্টি মনোনীত এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এ নিয়ে ভোটার ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

জাতীয় পার্টির এ প্রার্থীকে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের নেতৃত্বে উপজেলা আওয়ামী লীগের একটি পক্ষ সভা করে সমর্থন দিয়েছে।

তবে প্রতিমন্ত্রী বিরোধী আওয়ামী লীগের অপর অংশ জাতীয় পার্টির সঙ্গে থাকছে না। তারা আওয়ামী লীগের দলের অপর দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে মাঠে নেমেছেন। এ অবস্থায় জাতীয় পার্টির এ প্রার্থীকে নিয়ে এলাকায় আওয়ামী লীগও বিভক্ত হয়ে পড়েছে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাপার সঙ্গে সমঝোতার কারণে ময়মনসিংহ-৫ (মুক্তাগাছা) আসনটি ছেড়ে দেওয়া হয় জাতীয় পার্টিকে। জাতীয় পার্টির নেতা সালাহ উদ্দিন আহম্মেদ মুক্তি ২০১৪ সালে এ আসনে এমপি হয়েছিলেন। পরবর্তীতে নানান কারণে তিনি সমালোচিত হন। এমপিত্ব চলে যাওয়ার পর তিনি সক্রিয়ভাবে রাজনীতিও করতেন না রওশনপন্থী এ নেতা।

এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর জেলার রাজনীতিতে তিনিই আবার রওশনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। হয়ে যান জি এম কাদের পক্ষের লোক। অতীতের মতো এবারও ভাগ্যচক্রে লাঙলের মনোনয়ন পেয়ে যান।

তবে এ আসনে কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ও ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কৃষিবিদ নজরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অ্যাডভোকেট বদর উদ্দিন আহমদ স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।

নির্বাচনে জাতীয় পার্টির সালাহ উদ্দিন মুক্তিকে সমর্থন দিয়েছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলামকে সমর্থন দিয়েছেন নৌকা পেয়েও প্রত্যাহার করা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই আকন্দ। আওয়ামী লীগের দুজন স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকার পরেও জাতীয় পার্টির প্রার্থীর পোস্টারে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী উল্লেখ করায় তৃণমূল নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

মুক্তাগাছা শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আরব আলী বলেন, পোস্টারে আওয়ামী লীগ সমর্থিত লেখা ব্যবহার করার আগে প্রার্থীর পক্ষ থেকে আমাদের কারো কাছে কোনো মতামত নেওয়া হয়নি।

এ বিষয়ে জানতে জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি ও এবারের প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদ মুক্তির যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।

নয়াশতাব্দী/জেডএম