ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ঠাকুরগাঁওয়ে এক গ্রামে ১৫ জোড়া যমজ ভাই-বোন

প্রকাশনার সময়: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৬:১৬

ঠাকুরগাঁওয়ে এক পরিবারে ৪ জোড়াসহ এক গ্রামেই ১৫ জোড়ার অধিক যমজ ভাই-বোন রয়েছে। তাদের মাঝে কিছু বিষয়ে মিল-অমিল থাকলেও বন্ধন বেশ দৃঢ়। যমজ সন্তান নিয়ে অনেকে কটু মন্তব্য করলেও খুশি তাদের পরিবার। তাদেরকে দেখতে ভিড় করছেন বিভিন্ন শ্রেণির পেশার মানুষ।

ঠাকুরগাঁওয়ের সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নের দক্ষিণ ঠাকুরগাঁও গ্রাম। সবুজ-শ্যামল গ্রামের অধিকাংশ মানুষ কৃষি পেশার সাথে জড়িত। এই গ্রামের একই পরিবারে রয়েছে চার জোড়া যমজ ভাই-বোন। আর তাদের আশপাশে রয়েছে আরও পনেরো জোড়ার অধিক যমজ ভাই-বোন।

সরেজমিনে সেই গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, যমজ ভাই-বোনের এক অন্যরকম ভালো লাগার দৃশ্য। মলিন আর মনহরি যমজ দুই ভাই। তারা যমজ হিসেবে সবার চেয়ে বয়সে বড়। পরিবারের কাজ নিয়ে নানা ব্যস্ততায় সময় কাটে তাদের। তবে বয়স বাড়লে মিল কমেনি তাদের। একসাথে হাট-বাজার যাওয়া, একই পোশাক পড়া এবং কৃষি কাজও একসাথে করেন। তাদের সাথেই বেড়ে উঠছে আরো তিন জোড়া যমজ সন্তান। সম্পর্কে তারা তাদের ভাই-ভাতিজা। ছোট সেই যমজেরা একসাথে বেড়ে উঠছে শৈশবের সেই দূরন্তপনায়। পাপ্পু-প্রাপ্পু, খুশি-বন্ধন আর নিবিড়-নিলয়। সারাদিন পুরো বাড়ি যেন তারা মাতিয়ে রাখেন। একসাথে খেলাধুলা, পড়াশোনা করা এবং সাজগোজে সময় পার হয়ে যায় তাদের।

এরা একজন যেন আরেকজনের প্রতিচ্ছবি। কখনো কখনো তাদের কথাবার্তা, আচার-আচরণ, চলাফেরা একবারে হুবহু মিলে যায়। আবার এর বিপরীতও দেখা যায়। বাড়ি, স্কুল, গ্রাম সবখানেই একই চেহারার জন্য নানানরকম অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে সময় কাটে সবার। তবে এতে সবার প্রতিক্রিয়া বেশ মজাদার। যমজ হবার দরুণ তারা সবার কাছে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ও প্রিয় হয়ে ওঠেছে।

তাদের মতে এ গ্রামে রয়েছে ইতি-বিথী, তৃণা-তৃষা সহ আরো ১৫ জোড়া যমজ ভাই-বোন। তারা অনেকে বিভিন্ন জায়গায় পড়াশোনা ও কর্মরত রয়েছেন। যমজ ভাই-বোন ঘিরে গ্রামের নাম মজার ছলে অনেকে যমজপাড়া বলেও অভিহিত করছেন।

যমজ ভাই-বোনদের দেখতে আসা বিশিষ্ট কলামিস্ট নাজমুল হোসেন বলেন, একসাথে একই পরিবারে চার জোড়া যমজ ভাই-বোন দেখে আলাদা রকম ভালো লাগার অনুভূতি কাজ করে। একই রকম দেখতে, পোশাকেও তাদের মিল দেখে বেশ ভালো লাগছে।

বয়স বাড়লেও কমেনি মলিন আর মনহরি মিল। বড় ভাই মলিন বলেন, ছোটবেলা থেকে আমরা একসাথে। আমাদের তেমন কোনো ধরনের ঝামেলাও হয়নি। তবে অনেক মজার স্মৃতি আছে। একজন দোকানে বাকি করলে আরেকজনকে বলতো। ঝামেলা হলেও এটা খুব ভালো লাগতো।

পাপ্পু ও প্রাপ্পুর মা বিদিশা রাণী বলেন, তাদের মাঝে মিল যেমন বেশি আবার ঝগড়াও বেশি। একসাথে স্কুলে যাতায়াত করে। খেলাধুলা, খাওয়া দাওয়া সবই একসাথে করে। এটি বেশ ভালো লাগে। যমজেরা আমাদের সংসারে আর্শীবাদ।

সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুব্রত কুমার রায় বলেন, ১৫ জোড়া যমজ ভাই-বোন একই গ্রামের হওয়ায় জেলাজুড়ে কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে। আমরা তাদের পাশে ছিলাম। ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে তাদের পাশে থাকা হবে।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ