ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভুয়া নিয়োগ, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ

প্রকাশনার সময়: ২১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৮:৫৬

নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ইমএক্স ম্যানপাওয়ার রিক্রটিং এজেন্সী বাংলাদেশ লিমিটেড এর অধিনে আউট সোর্সিং দফতরী কাম প্রহরী পদে অস্থায়ী পদে ভুয়া নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। ভুয়া নিয়োগ দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ ওঠেছে প্রধান শিক্ষক রাজিউল আলম বসুনিয়া রাজুর বিরুদ্ধে।

রাজু বর্তমানে নতুন বারবিশা বামুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মকত আছেন। রাজুর চেকও জমা রয়েছে ভুক্তভোগীদের কাছে। ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে শিক্ষক রাজু বসুনীয়া তিন ভুক্তভোগীর কাছ থেকে হাতিয়ে নেন আট লাখ টাকা।

টাকা নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন অম্বরীশ রায়, শান্ত রায় ও বিনোদ অধিকারীর পরিবার।

তিন দফায় এই উপজেলায় ১৫ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করেন একটি চক্র। চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি প্রথম পর্যায়ে চক্রটি ৯ জনের নামে প্যানেল নিয়োগের একটি তালিকা প্রকাশ করে। পর্যায়ক্রমে পরবর্তীতে ৫ জনের ও সর্বশেষ ২৮মে একজনের নিয়োগপত্র আসে ডাকযোগে।

ভুক্তভুগীদের অভিযোগ ভুয়া চাকরির নিয়োগের পিছনে বড় ধরনের একটি চক্র জড়িত আছে। সঠিকভাবে তদন্ত করলে বেরিয়ে আসতে পারে অনেক বড় বড় রাঘব বোয়ালের নাম। তাই সঠিকভাবে তদন্তের দাবি ভুক্তভোগীদের।

উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের নয়ানী বাগডোকরা গ্রামের ভুক্তভোগী বিনোদ অধিকারীর পিতা নরেশ অধিকারী বলেন, রাজু মাস্টার আমার ছেলের চাকরি নিয়ে দিবে বলে সাত লাখ টাকায় আমার সাথে চুক্তি করে। আমি অগ্রিম ৩ লাখ টাকা বিভিন্ন সময় তাকে দেই। অবশিষ্ট টাকার জন্য আমার কাছে চেক ও স্ট্যাম্প নেয়। আমার ছেলেকে দুইবার নিয়োগপত্র দেয় কিন্তু যোগদান আর করায় না। পরে জানতে পারি এগুলো ভুয়া নিয়োগপত্র।

আরেক ভুক্তভোগী শান্ত রায়ের ভগ্নিপতি লিপু রায় বলেন, আমি আমার শ্যালকের চাকরির জন্য রাজু মাস্টারকে ৩ লাখ টাকা দেই। ডোমার খানাপিনা হোটেলের সামনে। তখন একজন কর্মকর্তাও উপস্থিত ছিলেন।

খামার বাগডোকরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শামীমা মোস্তারীন জানান, আমাকে অফিস থেকে যোগদানের জন্য বলে। কিন্তু আমি আমার ক্লাস্টারের দায়িত্বে থাকা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানালে তিনি যোগদান করাতে নিষেধ করেন। তা ছাড়া অফিসিয়ালি কোনো চিঠি বিদ্যালয়ে আসেনি।

এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক রাজিউল আলম বসুনীয়া রাজুর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে নিয়োগের বিষয়ে জড়িত থাকার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। তবে এ বিষয়গুলো নিয়ে সোনারায় এলাকার শিক্ষক আশিকুর রহমানের সাথে পরামর্শ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। ভুক্তভোগীদের কাছে আপনার চেক কেন জানতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর না দিয়ে বলে আমি কি কাউকে চাকরি দিতে পারি।

তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছিলাম। তখন এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষকদের জানাই অফিসিয়ালি কাউকে দফতরী কাম প্রহরী পদে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এ রকম কাগজ কেউ পেয়ে থাকলে অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছিল।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়াটি বন্ধ আছে। এই নিয়োগের সাথে যেই জড়িত থাক না কেন লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ