দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী ৩ (দশমিনা-গলাচিপা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী রাষ্ট্রপতির সাবেক সামরিক সচিব এবং বিজিবি’র মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আবুল হোসেনের ঈগল মার্কার প্রচার মাইক ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর উপজেলার বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের ঠাকুরের হাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, লে. জে. (অব.) আবুল হোসেন ঈগল মার্কার প্রচারের সময় গাড়ি ও মাইক এই এলাকার স্থানীয় কয়েকজন যুবক ভাঙচুরের ঘটনা ঘটায়।
প্রচার মাইকের রিকশাচালক মো. হাসনাইন বলেন, আমি বেতাগী বাজার দিয়ে নির্বাচনী প্রচার করে ঠাকুরেরহাটে আসলে দেখি ওইখানে নৌকার মিছিল হয় তখন আমি তাৎক্ষণিক আমার প্রচার মাইক বন্ধ করি। তখন নৌকার মিছিলের কয়েকজন ভাইয়েরা আমাকে এসে বলে এটা কোন গ্রুপের মাইক প্রচার করস। তখন আমি বলি ঈগল মার্কার। পরে তারা বলে নৌকা ছাড়া কোনো প্রার্থী প্রচার চলবে না, এসব কথা বলে আমাকে চার-পাঁচজনে এলোপাথাড়িভাবে মারতে থাকে এবং আমার রিকশা ও মাইক ভেঙে ফেলে। পরে আমার হাত থেকে একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ছিনিয়ে নেয়।
তারা চলে যাওয়ার পরে ওই গ্রামের স্থানীয় এক চাচার কাছে তাদের নাম জানতে পারি। তাদের মধ্যে শাহিন ও বর্তমান এমপি সাহেবের সাথে থাকে ছাত্রলীগ নেতা জুলহাস। বাকিদের নাম জানতে পারিনি। পরে আমি দশমিনার যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনের দায়িত্বে ছিলেন তাদেরকে বিষয়টি জানাই।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইকবাল মাহমুদ লিটন বলেন, এরকম ন্যাক্কারজনক ঘটনার বিষয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা পুলিশকে জানাবো। আমাদের যারা কর্মী সমর্থক আছে তাদেরকে ধৈর্য ধারণ করার জন্য আমি আহ্বান জানাচ্ছি যেন পাল্টা কোনো প্রতিক্রিয়া না হয় আমরা আইনিভাবে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করব।
দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, ঘটনা শুনে তাৎক্ষণিক ওইখানে আমাদের দুইজন পুলিশ গেছে। এ বিষয়ে আমাদের তদন্ত চলছে। আমরা এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে তদন্ত করবো। আমি এ বিষয়ে সহকারী রিটার্নিং অফিসারকে জানিয়েছি।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ