ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

সালথায় দুর্ধর্ষ ডাকাতি, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট

প্রকাশনার সময়: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৭:২৪ | আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৭:৩৫

ফরিদপুরের সালথায় পাশাপাশি তিন বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় তারা নগদ টাকা এবং স্বর্ণালংকারসহ মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।

রোববার (১৭ ডিসেম্বর) গভীর রাতে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের দিয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগীরা হলেন, একই গ্রামের বিজিবি সদস্য কাজী সাইদুল হক নিলু, মো. সোহেল মাতুব্বর ও মো. রবিউল হাসান রবিন।

ভুক্তভোগী সোহেল মাতুব্বরের স্ত্রী নার্গিস সুলতানা বলেন, ঘটনার রাতে আমার স্বামী আটরশি দরবার শরিফে ছিলেন। বাড়িতে আমি সন্তানদের নিয়ে ছিলাম। রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে আমাদের বাথরুমের ভেন্টিলেটর ও টিনের চালা থেকে ৫-৬ জনের মুখোশধারী ডাকাতদল ঘরে প্রবেশ করে। তারা প্রথমে আমাদের দুজনের হাত-পা ও মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে ফেলে। পরে ডাকাতদল ঘরের ভেতরে আলমারিতে থাকা নগদ ৪ লাখ টাকা, ১.৫ ভরি স্বর্ণালংকার, ৬.৫ ভরি রুপার চেইন ও নূপুর, মোবাইল ও টিভি লুট করে নিয়ে যায়।

ভুক্তভোগী বিজিবি সদস্য কাজী সাইদুল হক নিলুর স্ত্রী জুলিয়া বেগম বলেন, আমার স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। বাড়িতে আমার সাথে শাশুড়ি ছিলেন। ডাকাতদল দরজা ভেঙে আমার ঘরে প্রবেশ করে আমাদের হাত-পা ও মুখ বেঁধে রেখে নগদ ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা, ৪.৫ ভরি স্বর্ণালংকার ও মোবাইলসহ মালামাল লুট করে নিয়ে। একই সময় প্রতিবেশী রবিউলের ঘরে ঢুকে নগদ ১৭ হাজার টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। তবে রবিউলের পরিবারের সদস্যরা কেউ ডাকাতির ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন না। তিনি আরও বলেন, ডাকাতদলের সদস্যদের মুখে মাক্স ও মাফলার পেঁচানো ছিল। তবে তারা আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলেছেন।

সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মাদ ফায়েজুর রহমান বলেন, ডাকাতির খবর পেয়ে ভুক্তভোগীদের বাড়িতে খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে। মামলা অনুয়ায়ী দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ