চলমান হরতাল- অবরোধে রাজনৈতিক সহিংসতার কারণ দেখিয়ে রাতে ট্রেনের গতি কমিয়ে অর্ধেক করা হয়েছে। ফলে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটারে চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ফলে সকালের ও রাতের ট্রেনগুলোর যাত্রায় দেরি হচ্ছে। রাতের ট্রেনগুলো দেরিতে পৌঁছানোর কারণে সকালে দেরিতে ছেড়ে যাচ্ছে।
রেলপথে নিরাপদ ভ্রমণের জন্য সুবিদিত। কিন্তু নাশকতার কারণে সম্প্রতি ট্রেন দুর্ঘটনা বেড়েছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ট্রেন দুর্ঘটনা প্রতিরোধ ও যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য রেললাইনে পাহারা, রেললাইনের ক্লিপার ও নাট-বল্টু ঠিকঠাক করা, রেললাইনের অপসারিত মাটি ভরাট ও ট্রেনের গতি কমিয়ে ট্রেন পরিচালনার উদ্যোগ নিয়েছে। ফলে পশ্চিমাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকায় নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ট্রেন দেরিতে পৌঁছানোর কারণে দেরিতে ছেড়ে যাচ্ছে। অনেক এলাকায় গতি কমিয়ে ট্রেন চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। মূলত দুর্ঘটনা এড়াতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
পশ্চিমাঞ্চলের পাকশী রেলওয়ে বিভাগীয় পরিবহন কার্যালয় সূত্র জানায়, ১৫ ডিসেম্বর থেকে বেশকিছু ট্রেন দেরিতে ছাড়ছে।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার জানান, চলমান বিরূপ রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নিরাপদে ট্রেন পরিচালনার জন্য পশ্চিমাঞ্চলের সব সেকশনে নিয়মিত ট্র্যাক পেট্রল, রাত্রিকালীন (রাত ১১টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত) ট্রেনগুলো নিয়ন্ত্রিত গতিতে (ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার) পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী আসাদুল হক জানান, রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে প্রতিদিন রেলপথে নাশকতা হচ্ছে। উদ্ভূত পরিস্থিতি থেকে উত্তোরণে করণীয় নিয়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রকৌশলী বিভাগের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা নিরাপদ ট্রেন চলাচলের জন্য রেলপথে নাশকতা প্রতিরোধে ২৪ ঘণ্টা ট্রলি যোগে টহল, রেললাইনের নাট-বল্টু পরীক্ষা করা হচ্ছে। এ ছাড়া নাশকতা প্রতিরোধে সংশ্লিষ্টদের তৎপরতার পাশাপাশি সকলকে সজাগ থাকতে বলা হয়েছে।
পাকশী বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মো. আবু জাফর জানান, তারা রেলপথ সচল রাখতে সহকর্মীদের নিয়ে বিরামহীন কাজ করে যাচ্ছেন। এ ছাড়া রেললাইন তদারকির জন্য প্রতিদিন ট্রলি নিয়ে পরিদর্শন করছেন এবং সহকর্মীদের দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ