চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানাধীন বারাদি সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।
শনিবার দিবাগত রাতে দামুড়হুদা উপজেলার বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ৮২ নম্বর প্রধান খুঁটির কাছাকাছি ভারতের নদীয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জ থানাধীন বিজয়পুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামের ব্যাকপাড়ার হায়দার আলীর ছেলে সাজিদুল ইসলাম (২৫) ও একই এলাকার শরিয়তুল্লাহর ছেলে খাজা মঈনউদ্দিন (৩২)।
পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএএম জাকারিয়া আলম জানান, শনিবার দিবাগত রাতে বারাদি সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে গরু আনতে যান বেশ কয়েকজন গরু ব্যবসায়ী। এ সময় ভারতের অভ্যন্তর বিজয়পুর সীমান্ত এলাকায় প্রবেশ করলে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে বিএসএফ ব্যাটালিয়েনের গোবিন্দপুর বিওপির সদস্যরা
এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন সাজেদুর রহমান ও খাজা মইনুদ্দীন। তাদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কৃষ্ণগঞ্জ হাসপাতালে রাখা হয়েছে।
নিহত খাজা মইনুদ্দীনের বড় ভাবি রুপালী খাতুন জানান, আমার দেবর শনিবার সন্ধ্য ৭ টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে পার্শবর্তী দোকানে চা খেতে যায়। পরবর্তীতে সে আর বাড়িতে ফেরেনি। সকালে গ্রামের বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে শুনতে পায় ভারতে গরু আনতে সে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছে।
দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, নিহত বাংলাদেশি দু’জন ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করেছিল। ভারতের কৃষ্ণনগর থানাধীন এলাকায় বিএফএফের গুলিতে তারা নিহত হয়েছেন বলে জেনেছি। মরদেহ সেখানে আছে। ধারণা করা হচ্ছে তারা অবৈধভাবে গরু নিয়ে আনতে গিয়েছিল।
এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ